সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি লিয়াকত আলী মেম্বার ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে বারাদী ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, বেশ কয়েক মাস যাবত একটি কুচক্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি লিয়াকত আলী সহ বারাদী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবদল নেতা আঃ হালিম ও রিপন আহমেদ এর নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিভিন্ন ধরনের ছবি পোস্ট করে। গত কয়েকদিন আগে ফেসবুকে রুকাইয়া আফরিন নামের একটি আইডি থেকে বিএনপি’র এই সকল নেতাদের নামে চাঁদাবাজি নির্মাণ শ্রমিককে মারধর বারাদী খামারে শ্রমিক নিয়োগের বাণিজ্য দখলবাজি নকল সিগারেট বিক্রি ও মাদক ব্যবসা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট করা হয় । এরই প্রতিবাদে সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি লিয়াকত আলী সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কতিপয় কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর পোস্ট করে আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করার মিথ্যা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এবং বারাদী ইউনিয়নবাসীর সামনে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন যা আমার জন্য বিব্রত কর। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে তার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। একজন নির্মাণ শ্রমিককে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে ইঞ্জিনিয়ার সাজিয়ে জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি মূলক অডিও ক্লিপ বানিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে। আমাকে সমাজের চোখে অপরাধী বানানোর জন্য আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য আমাকে মাদক ব্যবসায়ী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোন ধরনের নেশা মাদকদ্রব্যের সাথে সম্পৃক্ত নয় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাকাণ্ড ছড়ানো হয়েছে।
মেহেরপুর সদরের বারাদী বিএডিসি ফার্মে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে অর্থ বাণিজ্য নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। সুপ্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ আপনারা বিএডিসিতে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাছে সরেজমিনে পরিদর্শন করে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন । আমি এইগুলোর সাথে জড়িত কি না? যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে তারা পরাজিত শক্তি, তারা অপরাজনীতি শুরু করেছে। অতীতে আওয়ামী প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আমি মামলা হামলার শিকার হয়েছি। এখনো আমাকে সেই স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্নভাবে পরাজিত করতে বিএনপি’র ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমাকে যেন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেজন্য আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এর আগেও আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছিল। আমি মেহেরপুর সদর থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। তারপরেও তারা একের পর এক মানহানিকর মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলা বাসীর নিকট আবেদন জানায়, আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের গুজব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা মূলক কোনো ফেসবুক পোস্ট আপনারা বিশ্বাস করবেন না। এগুলোর সাথে আমি জড়িত নই বা এই ধরনের কাজের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। তিনি আরো বলেন, আমি ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আমার জনপ্রিয়তায় তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি সেই সাথে এই কুচক্রীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির আবেদন জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ বিএনপি নেতা মীর আবুল হাশেম, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন মেম্বার, কামরুজ্জামান মুকুল মেম্বার, আফারুল ইসলাম ডাবলু, আশরাফুজ্জামান আলিহিম মেম্বার, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি লাল মোহাম্মদ, যুবদল নেতা দেওয়ান শফিকুল ইসলাম শফি, শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা শফিকুল আজম সহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।