মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর মীর পাড়ায় নিয়মকানুন এর তোয়াক্কা না করে মাটি খনন ও মাটি বহনের জন্য বসত বাড়ির গাছ জোরপূর্বকভাবে কাটতে বাধা দেওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে একই এলাকার আজাদ আলী ও তার ছেলে অন্তর।
বুধবার সকাল ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সাহাবুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আজাদ আলীর ছেলে অন্তর নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করে দীর্ঘদিন ধরে মাটি বিক্রি করে আসছে। তার এই অপরিকল্পিত ভাবে গভীর করে পুকুর খননের কারণে মীরপাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাজলা নদী ও আমার জমি এখন হুমকির মুখে।
এবিষয়ে ভূমি অফিসে একটি অভিযোগও দাখিল করা হয়েছে। কোন কিছু পরোয়া না করেই মাটি খননের কাজ চলমান রাখেন অন্তর। এমনকি পাড়ার মানুষের চলাচলের সরকারি রাস্তা দখল করে সেই মাটিও গতবছর বিক্রি করেছে সে।
তিনি আরও বলেন, খননকৃত মাটি বহনের জন্য সে আমাদের চলাচলের রাস্তাটি ইচ্ছেমত ব্যবহার করে। আজকে সকালে ছোট একটি গাছ কাটতে বাধা দেওয়ার কারণে আমার চাচা আব্দুর রাজ্জাককে দা দিয়ে মাথায় কোপ মারে এবং দায়ের উল্টো দিক দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
এসময় চাচার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই ঘটনায় একই এলাকার মৃত মরজেম হোসেন ওরফে নিলু মাষ্টার এর ছেলে আজাদ, মহব্বত আলী, আজাদ আলীর ছেলে অন্তর ও মহব্বত আলীর ছেলে সবুজকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।