মেহেরপুর শহরের সেই আলোচিত হোটেল আটলান্টিকায় এখন সুনসান নিরাবতা। তরুণ তরুণীদের কোলাহল মুখর এই অভিজাত হোটেলে পাওয়া যায়নি একজনকেও। অথচ, দুই দিন আগেও শহরের ধনীর দুলাল দুলালীদের কোলাহলে মুখরিত থাকতো হোটেলের ইনডোর আউটডোরের সব ফ্লোরগুলো।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল তিন টার সময় হোটেলটিতে গিয়ে পাওয়া যায়নি কাউকে। শুণ্য পড়ে আছে হোটেলের সব রুম। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ছিলনা কোনো খোদ্দের।
হোটেলটির অভ্যর্থনাকেন্দ্রে অনিক নামের এক পরিচারিক (ওয়েটার) কে দেখা যায়। নিজেকে হোটেলের ওয়েটার পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, হোটেলের মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুনকে এক নারীসহ গতকাল (৩০ নভেম্বর) ভোররাতের দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। এরপর থেকে হোটেলের সব লোকজনই পালিয়ে গেছে। আমি ছুটিতে ছিলাম। আজকে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে এসে এসব শুনছি। হোটেলের আবাসিক রুমগুলো শুণ্য পড়ে আছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া হোটেলের চাইনিজ রেস্টুরেন্টেটিও বন্ধ রয়েছে। আজকে কোনো খরিদদারও আসেনি বলে জানান তিনি।
জানা হোটেলটিতে রাত প্রতি দেড় হাজার থেকে শুরু হয়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হয় বোর্ডারদের। এছাড়া হোটেলটিতে দিনে তরুণ তরুণীদের জন্য ঘন্টা চুক্তি ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া সুইমিংপুলসহ বিশেষ কক্ষ ব্যবহারের জন্য গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। চাইনিজ রেস্টুরেন্টের নামে নিম্নমানের খাবারের দাম নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থায়।
হোটেল থেকেই বিভিন্ন খদ্দেরদের নারী সাপ্লাই দিয়ে থাকেন মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন।
ছন্দা নামের এক নারীসহ পিতা পুত্রকে আটকের পর ছন্দা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবান বন্দীতে এসব কথা স্বীকার করেছেন। এরপর পিতা-পুত্রসহ ওই নারীকে কোর্টে চালান দেন।
এদিকে হোটেলের আরেক নারী নাজনীন খান প্রিয়াকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নাজনীন খান প্রিয়াকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। যে কোনো সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে থানায়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) ভোররাতের দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হোটেলের মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন ও ছন্দাকে পুলিশ আটক করে।