মেহেরপুর সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের হিতিমপাড়া গ্রামে ভৈরব নদের পাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাটি কেটে ট্রাকে করে অন্যত্র নিয়ে গেলেও যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হিতিমপাড়া গ্রামের ভৈরব নদের পাড়ে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। সেই মাটি ট্রাক্টরে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ কালু মিয়া নামের একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে নদের পাড় কেটে মাটি বিক্রয় করছেন। হিতিমপাড়া এলাকার কয়েক কিলোমিটার নদীর পাড় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেটে সাবাড় করে চলেছে। দিনরাত মাটির ট্রাক্টর চলাচল করায় আশপাশের পাকা রাস্তা, ইটের সলিংসহ কাচা রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা ধুলাবালির কারণে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তি জানান এখানে মাটি কেটে গাড়ি প্রতি ১৫০০ -১৭০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন শতাধিক গাড়ি মাটি তুলছেন ওই চক্রটি।
এদিকে, মাটির ট্রাক্টর রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গেলেও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ তো দূরের কথা মুখ পর্যন্ত খুলতে সাহস পায়নি।
সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ভৈরব নদ খনন করা হয়। এলাকার ভৈরব নদের পাড় রাস্তা আকারে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সম্পন্ন করে। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে প্রভাবশালী চক্রটি।
এদিকে অবাধে মাটি বিক্রির ফলে ফসলি জমির পাড় কেটেও নিচ্ছে এই চক্রটি। মাটি কাটার ফলে স্বপ্ন পুড়ছে অসহায় গরীব কৃষকের।
এ বিষয় রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান এখানে যে ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে এভাবে কাটলে আমাদের আবাদি জমি গুলো বৃষ্টিতে ধসে বিলিন হতে পারে।। আমরা মূর্খ মানুষ এ ব্যাপারে জানিনা তবে এটি বন্ধ হওয়া দরকার। সরকারী মাটি কেটেই লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করে চলেছেন।
এ ব্যাপারে হামিদুল ইসলাম জানান এই মাটি কাটার কারনে আমাদের চাঁদপুর হিতিমপাড়া রামদাসপুর যাওয়ার পিচ রাস্তা একটু বৃষ্টি হলেই চলা চলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনা আশংকা করছে এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে মোঃ কালু মিয়া জানান এখানে যখন আমরা মাটি কাটছি তখন সরকারি অনুমতি নিয়েই কাটছি। আমাদের অনুমতি আছে এ মাটি কাটার। তবে সাংবাদিকদের সাথেও এ বিষয়ে কথা হয়। আর এই দিক দিয়ে ওয়াকওয়ে রাস্তার কাজ হবে এই রাস্তা নির্মানের জন্যা মাটি সরানোর কাজ করছি। কারোর কোন ক্ষতি করে মাটি কাটছিনা। তবে এ ব্যাপারে লিখিত ডকুমেন্ট দেখতে চাইলে বাড়িতে আছে বলে জানান।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান বলেন, আমি একটি অভিযোগ পাওয়ার পর তারা একটা কাগজ এনে আমাকে দেখিয়েছেন। আমি আগামীকাল তাদের ওই কাগজ এডিএমকে দেখানোর জন্য বলেছি। মাটি কাটা আজ থেকে বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বসে এই বিষয়ে স্বীদ্ধান্ত হবে।