মেহেরপুর শহরের বড় বাজারে সোনালী জাতের রাণীক্ষেত রোগে আক্রান্ত মুরগী বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিক্রেতা হেরেন আলীর বিরুদ্ধে। তিনি প্রতি কেজি ১৫০টাকা করে বিক্রি করেন। অন্য বিক্রেতা একই জাতের মুরগী বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
জানা গেছে, কম দামে বিক্রি করায় মরুগী ভাল না মন্দ যে বিচার না করেই হুজুগে ক্রেতা আক্রান্ত মুরগী কিনেছেন। চুয়াডাঙ্গার বেলগাছির একটি ফার্ম থেকে কম দামে এই অসুস্থ মুরগী গুলো কিনে গত দুই দিন ধরে মাইকিং করে বিক্রি করছেন হেরেন আলী।
মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুই দিনে রাণীক্ষেত আক্রান্ত মুরগী বিক্রি করেছেন প্রায় ৮মন। বাজারে অন্যান্য বিক্রেতা সোনালী জাতের মুরগী ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দওে বিক্রি করলেও তিনি মাইকিং করে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। ফলে বাজারে মুরগী আনার পরপরই মুরগীগুলো বিক্রি হয়েযায়। খবর পেয়ে বড়বাজারে গিয়ে দেখা যায় হেরেন আলীর মুরগীগুলো রাণীক্ষেতে আক্রান্ত হওয়ায় সেগুলো ঝিমাচ্ছে।
অন্যান্য বিক্রেতাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও মাসুদ জানান, কম দামে বিক্রি করায় তার মুরগী বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আমাদের গুলো অবিক্রি থেকে যাচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম একটি দল নিয়ে বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি ল্যাব টেস্টের জন্য হেরেন আলীর দুটি মুরগি প্রাণী সম্পাদ অফিসে নিয়ে যান এবং উপস্থিত ক্রেতাদের অসুস্থ মুরগী কিনতে নিরুৎসাহিত করেন। পরবর্তিতে ল্যাব টেস্ট শেষে তিনি জানান, মুরগী গুলো রাণীক্ষেত ভাইরাসে আক্রান্ত । তিনি আরো জানান, কোন অসুস্থ প্রাণীই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
মেপ্র/ইএম