ভারতে পাচারের উদ্যোশ্যে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা ৮টি আফ্রিকান বিরল জাতের “ওপেন বিল” পাখি উদ্ধার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) মেহেরপুর সিপিসি-৩ সদস্যরা। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আটককৃত চালক আশরাফ আলী বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের মত নুর ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, রোববার (২ জুন) দিবাগত রাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের গাংনী উপজেলার চোখতোলা নামক স্থান থেকে একটি প্রাইভেট কার যার নম্বর ঢাকা (মেট্রো-গ ২৭-৩৭৩৮) থেকে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় প্রাইভেট কারের চালক আশরাফ আলীকে আটক করা হয়।
র্যাব-১২ এর সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কমান্ডার মনিরুজ্জামান এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
পরে রাত পৌনে ১২ টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও জব্দকৃত পাখিগুলো ঢাকা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কতৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
র্যাব-১২ এর সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কমান্ডার মনিরুজ্জামান বলেন, পাখিগুলো দু’টি কাঠের তৈরি বক্সে করে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে প্রাইভেট কার যোগে ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে মুজিবনগরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাংনী উপজেলার চোখতোলা নামক স্থান থেকে পাখিগুলোসহ বহনকারী প্রাইভেট কারের চালককে আটক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতম সাহা বলেন, পাখি বহনের অনুমোদনের কাগজপত্র ও বিদেশী পাখির পায়ে কোন রিং বা ট্যাগ না থাকায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৩৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এসময় র্যাব-১২ এর সিপিসি-৩ এর গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, মেহেরপুর জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসএফএনটিসি) এসটি হামিম হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
বন কর্মকর্তা এসটি হামিম হায়দার জানান, পাখিগুলোর নাম আফ্রিকান ওপেন বিল। পাখিগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। পাখিগুলো ঢাকা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কতৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।