গত ২৪ ঘন্টায় চারজনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনটি পজিটিভ। একটি ফলোআপ। নতুন আক্রান্তরা ফলোআপ রোগীর স্ত্রী ও ছেলে। এনিয়ে গতকাল শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা শতকে পূর্ণ হলো। গত ২২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয় মুজিবনগরের বল্লভপুরে। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে এক শতকে পৌঁছালো। সংক্রমণের আশি দিনে মেহেরপুরে শতকের ঘরে হানা দিল করোনা। তবে জেলায় আক্রান্তের এ সংখ্যা অন্যান্য জেলার তুলনায় কম। এখনো পর্যন্ত মেহেরপুর জেলা মোটামুটি ভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে বিভিন্ন জনের দাবি।
গতকালের রিপোর্ট পেয়ে সিভিল সার্জন জানান, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে ৪টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩টি করোনা পজেটিভ ও ১টি নেগেটিভ। আক্রান্তরা হলেন, সাহেবনগর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (ফলোআপ), তার স্ত্রী মিম আরা ও ছেলে আবির হোসাইন।
গতকালের রিপোর্ট নিয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: রিয়াজুল আলম জানান, জাহিদুল ইসলাম সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হন। পুনরায় তার নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হলে সেখান থেকে করোনা পজেটিভ বলে নিশ্চিত করে। এছাড়া জাহিদুল ইসলামের সংস্পর্শে এসে তার স্ত্রী ও সন্তান করোনা সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন,স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্তদের সার্বিক খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। কাউকে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে জেলায় করোনা নিয়ন্ত্রণ রাখতে কাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চললে জেলাকে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে জেলা পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জেলায় ১৫ সদস্যর একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমকে সহায়তা করার জন্য উপজেলা পর্যায়েও টিম গঠন করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে দিনে দফায় দফায় সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ চলমান রয়েছে। একাজ করতে গিয়ে জেলা পুলিশের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও পুলিশ সদস্যরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব থেকে পিছপা হননি। এভাবেই সকলের সহযোগীতায় জেলাকে করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুুনসুর আলম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে ২ হাজার ৫৪টি। এর মধ্যে ১শটি করোনা পজেটিভ, মৃত ৬ জন, সুস্থ্য ৫৭ জন।