মুজিবনগরে এনজিও ঋণের কিস্তির চাপে দিশেহারা নুরজাহানা খাতুন (৪২) গলাই ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে গাংনীতে ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পেরে বিষপান করেছেন রিপন হোসেন (৩২) নামের এক মাংস বিক্রেতা।
গাংনীর মাংস বিক্রেতা রিপন হোসেন বেঁচে গেলেও মারা গেছেন গেছেন মুজিবনগরের গৃহবধূ নুরজাহান।
নুরজাহান বেগম মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের নুর আলীর স্ত্রী। রিপন আলী গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের হাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেশীরা জানান, অভাব অনটনের থেকে মুক্তি পেতে নুরজাহান বেগম প্রায় ১৪/১৫ টি এনজিও থেকে ঋণের টাকা নিয়েছেন। ঋণের টাকায় স্বাবলম্বী না হয়ে অরও দরিদ্র হয়ে পড়েছে পরিবারটি। প্রতিদিনই দুই তিনটা এনজিও”র প্রতিনিধিরা ঋণের কিস্তি নিতে তার বাড়িতে আসেন। একদিকে অভাব অনটন অন্যদিকে কিস্তির চাপ। এনিয়ে তার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। গতকাল রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়। পরে ঘরের মধ্যে গিয়ে আড়ার সাথে গলাই ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসময় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম মৃত্যু ঘোষনা করেন।
এদিকে একই দিনে বিকালে গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের মাংস বিক্রেতা রিপন হোসেনের কাছে একটি এনজিও প্রতিনিধি ঋণের কিস্তি নিতে আসেন। এসময় ওই প্রতিনিধিকে সন্ধ্যার দিকে আসতে বলেন। এনজিও প্রতিনিধি চলে গেলে রিপন আলী নিজ ঘরে গলাই ফাঁশ লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সামান্য উন্নতি হলে বাড়ি এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।