কার্তিক মাসের শেষে এসে মেহেরপুরের বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এর ফলে আলু ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। পুরোনো আলুর দাম কেজি প্রতি ৫-৭ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মেহেরপুরের হোটেল বাজার এবং বড়বাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতের সবজি সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শাকের দাম নাগালের মধ্যে। বেশিরভাগ সবজিই ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহন্তে কমেছে মরিচ, রসুন ও আদার দাম। কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী আলু ও পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুরের বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত পুরোনো আলুর দাম বাড়তি থাকবে।
জানা গেছে ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে শাকসবজি বিক্রি করছেন ।
বাজারে আলুর কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি বেগুন এখন ৫০ টাকা কেজি, লাউ কেজিতে ৪০ টাকা, কলা ৭০ টাকা, শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পটল কেজিতে ৫০ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, টমেটো এক শত টাকা এবং লেবু হালিতে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে নতুন করে পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২ শত টাকায়। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ২ শত ৫০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫ শত টাকা কেজি দরে। সপ্তাহন্তে মুরগির দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা।
বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬ শত থেকে ৭ শত টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯ শত থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে।
কাঁচা বাজারের বাজার করতে আসা হালিম নামের এক ক্রেতা বলেন, হালকা হালকা শীত পড়াই বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বেশি থাকায় দাম গত সপ্তাহের থেকে কম তাই বাজার করতে এসে আজকে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। সকল পন্যের দাম অনেকটা সহনীয়।
হোটেল বাজারে আসা রোকন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে সবজির দাম কমেছে কিছুটা। কিন্তু আলুর দাম বেড়েই চলেছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আশা করি, শিগগিরই দাম নাগালের মধ্যে আসবে।