সারা বাংলাদেশের ন্যায় মেহেরপুরও বিরাজ করছে করোনা আতঙ্ক। অঘোষিত লক ডাউনে অনকেটাই শান্ত চারিপাশ। সবাই যখন করোনা মোকাবেলায় ব্যস্ত সময় পার করছে ঠিক এই সময়টাকে কাজে লাগিয়েছে এক শ্রেনীর মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা করোনা মোকাবেলায় থাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে তাদের আনাগোনা। অভিনব কায়দায় ছড়িয়ে পড়ছে মেহেরপুর অভ্যন্তরসহ বিভিন্ন জেলায়।
গত এক মাসে মেহেরপুর জেলায় প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী। সেই সাথে উদ্ধার করা হয় ৯৫৩ বোতল ফেন্সিডিল ও ৭০ গ্রাম হেরোইন।
জানা গেছে গনপরিবহন বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই সবজীবাহি গাড়ি। ফলে সবজীর গাড়িকে নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক পাচারকারিরা। প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানে কিছু মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও অধরা থেকে যাচ্ছে অনেক।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গত এপ্রিলেই ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে রয়েছে ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার মৃত ঠান্ডা শেখ এর ছেলে রুমন শেখ, প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের হেরোইন সহ গাংনীর আড়পাড়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে সোহেল, ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের খুশিলা খাতুন ও সিরাজুল ইসলাম, ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী মেহেরপুর শহরের জামে মসজিদ পাড়ার ভাড়াটিয়া চারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রিপন খান, দুই লক্ষ টাকার হেরোইন সহ কাথুলী বাস স্ট্যান্ডপাড়ার ইয়ারুল ইসলামের ছেলে জনি, একাধিক মাদক মামলার আসামী বাসস্ট্যান্ড পাড়ার রাজিব শেখ, ৬৩৯ বোতল ফেন্সিডিল ও চার কেজি গাজা সহ ৩ জন। এছাড়াও মার্চের শুরুতেই বুড়িপোতা ও রাধাকান্তপুর থেকে ২৯২ বোতল ফেন্সিডিল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা করা হয়।
মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আমরা এই করোনা পরিস্থিতিতেও বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যে কোন পরিস্থিতিতেই মাদক নিয়ন্ত্রনে আমদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শাহ জালাল খান বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নেওয়া হচ্ছে। আমরা ইনফরমেশন পেলে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।