ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, নদী দখল ও স্থানীয়দের নির্যাতনের প্রতিবাদে মেহেরপুরে মানববন্ধন,স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১০ টার মেহেরপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সদর উপজেলার কাঁঠালপোতা, সোনাপুর ও টুঙ্গি গ্রামের প্রায় দুই হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসানের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশাদুল ইসলাম। এ সময় পিরোজপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আশান্নুরী, সালমা বেগম, আওয়ামী লীগ মেতা আব্দুল লতিফ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক, কাঁঠালপাতা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, শহিদুল ইসলাম, কাঠালপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুস সামাদ, সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দীন, নাজমুল হাসান শুভ, মৎস্যজীবী রহিদুল ইসলাম, শরিয়ত, জিনারুল, মিয়ারুল, মিজান, ফারুক, আজিজুল, কামরুল, মিজানুর, মেন্টুলসহ কাঁঠালপোতা, সোনাপুর ও টুঙ্গী গ্রামের গণমান্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জেলে সম্প্রদায় ও বিভিন্ন বয়সী সহস্রাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু ও তার কিছু সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের আইন তোয়াক্কা না করে বাদ দিয়ে জোর পূর্বক মাছ চাষ করে আসছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে নদীটি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় অনেকেই তার ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। মিলু বাহিনী হামলা করে উল্টো আমাদের নামেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
বক্তারা আরও বলেন, কাজলা নদী সংলগ্ন টুপলা ও নেংড়ো বিলের মাছ চাষের আড়ালে নদীতে বাধ দিয়ে প্রবাহিত স্রোত বাধাগ্রস্ত করছে এর ফলে বিভিন্ন সময় পানি প্রবাহিত হয়ে পাশে ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে।
নদী বাঁচাতে ও ফসলি জমি রক্ষায় অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।