মেহেরপুরে পেঁয়াজ চাষি সাইফুল শেখ আত্মহত্যার ঘটনায় সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে আসা বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) দলের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার নিহত কৃষকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মেহেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ মণ্ডল।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন এবং উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বুধবার খানি সদস্য সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী, কৃষি গবেষক, লেখক ও সাংবাদিকরা নিহত কৃষকের পরিবার, স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে আজ ইউএনও পলাশ মণ্ডল খানি ভিজিট টিমকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি সাইফুল শেখের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর ইউএনও পলাশ মণ্ডল উপজেলা সমাজকল্যাণ তহবিল থেকে শোকাহত পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন। এছাড়াও, বেসরকারি ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান আশা থেকে নিহত কৃষকের ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা, কৃষকের মেয়ে রোজেফা খাতুনের জন্য শিক্ষাবৃত্তি, এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন। কৃষক সাইফুলের পরিবারকে কৃষিকাজ চালিয়ে যেতে বর্গাচাষের জমিতে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও সার সরবরাহেরও আশ্বাস দেন তিনি।
ইউএনও পলাশ মণ্ডল বলেন, “যা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আপনাদের যে ক্ষতি হয়েছে, আমরা তা পুরোপুরি পুষিয়ে দিতে পারব না, তবে আপনাদের প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “নিহত কৃষক সাইফুল শেখের এই ঘটনায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে খানি ক্যাটালিস্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।” কৃষক ও কৃষি বিষয়ে খানির কার্যক্রমের জন্য তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
খানি সহসভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকী জানান, এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য তারা কাজ করছেন। প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কিছুটা হলেও সহায়তা পাবে।
খানি দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নেটওয়ার্কটির সহসভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকী, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চের নির্বাহী প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী, ইনসিডিন বাংলাদেশের মুশফিক সাব্বির, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার অমিত রঞ্জন দে, আজকের পত্রিকার সাংবাদিক সাইফুল মাসুম এবং পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক প্রাণের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর উম্মে সালমা প্রমুখ।