করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। পরিবহন বন্ধ করার কারণে অধিকাংশ শ্রমিকরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অভুক্ত দিন কাটাচ্ছেন। পরিবহন বন্ধের ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোন শ্রমিক সরকারি ত্রাণ পাননি।
জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সাড়ে ৩ হাজার বাস শ্রমিক রয়েছেন। এদের মধ্যে আড়াই হাজার শ্রমিক দিন এনে দিনে খাওয়ার মত। তাদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
বাস শ্রমিক মমিন জানান, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। সব কিছু বন্ধ থাকায় খুব অর্থ কষ্টে ভুগছি। ফলে পরিবারের সদস্যদের খাবার যোগার করার কঠিন হয়ে পড়ছে।
অভিন্ন ভাষায় একই কষ্টের কথা জানান শ্রমিক ফিরোজ, পিনু, এরশাদ, মন্টুসহ অনেকে।
এ বিষয়ে কথা বলেন জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সরকার তার কারণে জেলায় প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল এবং প্রায় ১২ লাখ টাকা নগদ অনুদান দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। জেলায় অটো চালক ও মালিকদের সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। যেগুলো জেনে ভাল লেগেছে। একই সাথে আমাদের শ্রমিকরাও যাতে এ ত্রান পেতে পারে তার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি সাময়িক মোকাবেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩শ শ্রমিকের মাঝে কিছু খাদ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল জানান, এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আজ রাতে শ্রমিকদের সাথে জরুরী মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে মালিক ও শ্রমিক নেতারা মিলে একটি করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
বড় সংগঠনের দোহায় দিয়ে জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি বলেন, তারা ভিন্ন ভিন্ন খাতে সড়কে টাকা তুলে থাকেন। তাদের মালিক পক্ষও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। সেখান থেকেও তারা সাহায্য পেতে পারেন। তারপরও মালিকপক্ষ থেকে আমাদের জানালে আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নেব।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১০ টার দিকে জানা গেছে, ৫০০ শ্রমিকের জন্য ১৫ কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।