বিএনপির ও সমমনা দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধে মেহেরপুর জেলাতে মাঠে ছিলো না বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আাবার অবরোধ প্রতিরোধে আওয়ামী লীগেরও তেমন কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না ।
রবি ও সোমবার জেলার কোথাও অবরোধের সমর্থনে কোনও নেতাকর্মীকে মিছিল বা সমাবেশ করতে দেখা যায়নি। উপরন্তু রবিবার রাতে গাংনীর জনশুন্য রাস্তায় যুবদলের ব্যানারে একটি মশাল মিছিল করে ও একটি টায়ারে আগুন দিয়ে নিজেরাই সেই কর্মকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করে স্থান ও অংশনেওয়া নেতাকর্মীদের নাম গোপন করে ভিডিও চিত্র সাংবাদিকদের কাছে পাঠিয়ে ভার্চুয়াল অবরোধ কর্মসূচি পালনের তকমা পেয়েছেন।
অবরোধের কারণে রবিবার ও সোমবার মেহেরপুর – চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর – কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল করনি। তবে আন্তঃজেলা সড়কগুলোতে এবং অভ্যন্তরীণ সড়কে পর্যাপ্ত ইজিবাইক, নসিমন, রিকশাসহ ছোট যান চলাচল করছে। শহরের দোকানপাট-শপিংমল খুলেছে স্বাভাবিক দিনের মতো।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে ঘিরে রয়েছে কোন প্রোগ্রাম করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমার বাড়ি, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানের সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাব এমন লাগানো হয়েছে যাতে আমরা যেন কিছু না করতে পারি। তিনি আরো বলেন, দিন এমন থাকবে। যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বেড়েছে জনগণই এ সরকারের পতন নিয়ে আসবে একদিন ।
এদিকে, অবরোধে প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলাতে ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন দেখা যায়নি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনগুলিকে।
তবে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন এলাকা ও সড়কের মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।