মেহেরপুরের গাংনীতে ২ হাজার টাকা না দেওয়ায় হাসিনা খাতুন নামের এক অন্ধ মহিলার ভিজিডি’র কার্ড কেটে দিয়েছে ধানখোলা ইউপি সদস্য তৌহিদী হাসান নিলু।
অন্ধ হাসিনা খাতুন ধানখোলা ইউপির কসবা গ্রামের মামুনুর রশিদের স্ত্রী। অন্ধের ভিজিডি কার্ড কেটে দেওয়ায় এলাকায় নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে ইউপি সদস্য তৌহিদী হাসান নিলু।
অন্ধ হাসিনা খাতুন জানান, ইতোপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় অন্ধ জীবনের করুন দশা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তৎকালীন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ স্যারের সুপারিশে ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান ৩০ কেজি চাউলের একটি ভিজিডি কার্ড করে দেয়।
কিন্তু গত কয়েক মাস আগে কসবা গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর তৌহিদী হাসান নিলু ২ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ার কারণে আমার ভিজিডি’র কার্ড কেটে দিয়েছে।
এ ব্যপারে ইউপি সদস্য তৌহিদী হাসান নিলু জানান, হাসিনার ১৫০ নং কার্ডটি কেটে দেবার বিষয়ে শুনেছি।
তবে চেয়ারম্যান উক্ত কার্ডটি কেটে শানঘাট এতিমখাতানায় দিয়েছেন। আমি অন্ধ হাসিনার কাছে টাকাও চাইনী এ ব্যপারে কিছু জানিনা। তবে আমাদের ইউনিয়নে মাতৃত্বকালীণ ভাতা কার্ড পেয়েছে ৮০ টি।
সেখানে আমাকে দিয়েছে মাত্র ১ টি।
এর প্রতিবাদ করাই আখের চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে গভির ষড়যন্ত্র করে অন্ধ মহিলার কার্ড কেটে দিয়েছে। বিষয়টি উদর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে দেবার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান।
ধানখোলা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আজগর জানান, হাসিনা অন্ধ ও গরিব মানুষ তার ভিজিডি’র কার্ড কাটা ঠিক হয়নি। নিলু মেম্বার নয়া আওয়ামী লীগ সাজার চেষ্টা করে।
ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামানকে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া না দেয়াই কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি জানান, টাকার জন্য অন্ধ মহিলার কার্ড কেটে দিয়েছে এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। অবশ্যই এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাংনী প্রতিনিধি