বাংলা পঞ্জিকায় এখন চলছে আশ্বিন মাস। এবারের আশ্বিনের শুরুতে টানা চারদিন বৃষ্টির দাপট দেখালেও গত কয়েকদিন হলো বৃষ্টি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বমূর্তিতে হাজির হয়েছে গরম।
গত দুইদিনের চিটপিটে গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। শহরের পাশাপাশি গ্রামে যারা বসবাস করেন তারা আশ্বিনে মাসেও গরমে হাঁসফাঁস করছেন। তাপমাত্রা পরিমাপ স্কেলে দেখা যায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটা পর্যন্ত মেহেরপুরের তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল নয়টার সময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১২ টার সময় রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আদ্রতা ৬৬ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২২ তারিখে সাগরে নিম্নচাপ তৈরী হতে পারে। ফলে ২৩ অথবা ২৪ তারিখের দিকে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা সকলের। মানুষ থেকে পশু পাখি সকলেই গরমে অতিষ্ঠ।
গাংনী উপজেলা শহরে এলাকায় দেখা যায়, কিছু মানুষ গাছের নিচে বসে আছে। তারা জানান তীব্র গরমে ঘরে থাকা যায় না তাই একটু শান্তির আশায় এখানে অবস্থান করছি।
ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে গিয়ে দেখা যায়, ছোট বড় সব বয়সের মানুষেরা সারি সারি গাছের ছায়ায় বসে আছে। অনেকে তীব্র গরমে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য লেবুর শরবত, আখের শরবত ও ডাবের পানি পান করছে।
এদিকে তীব্র গরমের সাথে যুক্ত হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। দিন রাত মিলে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বয়স্করা।
মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের কোলারমোড় এলাকার আব্দুস সামাদ বলেন, রাত দুইটার পরেও লোডশেডিং হয়। ভ্যাপসা গরমে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ মারুফ জানান, গরমের কারণে বর্তমানে রোগীরা জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এদের অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তাই বয়স্ক ও শিশুদের দুপুরে রোদের মধ্যে বাইরে বের হওয়া যাবে না এবং বেশি করে পানি পান করতে হবে।