মেহেরপুর শহরে বিসিআইসি ও বিএডিসির দুই সার ডিলারকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিচালিত ভ্রাম্যমান অভিযান।
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি, ক্রেতাদের সার বিক্রির ভাউচার না দেয়া এবং বিক্রির রশিদ ও স্টকের গরমিল থাকায় শহরের উপকন্ঠে বামনপাড়া এলাকার মেসার্স মনিরুল এন্ড ব্রাদার্স নামক বিএডিসি সার ডিলার এবং বড়বাজার এলাকার মেসার্স গিয়াস উদ্দিন এন্ড সন্স নামক বিসিআইসি সারের ডিলার প্রতিষ্ঠানের ডিলারকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালিক সজল আহম্মেদ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, সার ক্রেতাদের বিক্রির ভাউচার না দেয়া, সার বিক্রির রশিদ ও স্টকের গরমিল পাওয়া এবং সার ক্রয় বিক্রির পাকা রশিদ না রাখা ও প্রদান না করার অপরাধে বিএডিসি সার ডিলার মেসার্স মনিরুল এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক মো: মাসুদ পারভেজকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ২০ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি, ক্রেতাদের ভাউচার প্রদান না করা, সার বিক্রির স্টক রেজিস্টার ও ভাউচার যাচাই করে সারের গড়মিল, প্রতি বস্তা ডিএপি সার ১০৫০ টাকার স্থলে ১৭৫০ টাকায় বিক্রি (প্রতি ৭০০ টাকা বেশি দামে) বিক্রির প্রমাণ পাওয়া, টি এস পিসহ অন্যান্য সারও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩০০-৭০০ টাকা বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স গিয়াস উদ্দিন এন্ড সন্স এর মালিক মো: সাঈদ আহম্মেদকে একই আইনের ৪০ ও ৪৫ ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান সহযোগিতায় ছিলেন মেহেরপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি মো: আশিক রাব্বি, মো: তামিম খান এবং মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, সবাইকে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা, মুল্যতালিকা প্রদর্শন ও কেনা-বেচার ভাউচার সংরক্ষণ করা এবং অতিরিক্ত দাম নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে এসব বিষয়ে সতর্ক করা হয় ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।