মেহেরপুর সদর উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য বোর্ড নির্দেশিত ফি’র থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বলে এর সত্যতাও মিলেছে। আর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বলছে, আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ থাকে বলেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। তবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন কোনভাবেই অতিরিক্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে আদায় করা যাবে না।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রেজিস্ট্রেশন বাবদ শিক্ষার্থীদের থেকে ১৯৫ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিজনের কাছে থেকে নেওয়া ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা পর্যন্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বোর্ড থেকে কয় টাকা নেওয়ার নির্দেশনা আছে জানি না। তবে রেজিস্ট্রেশন বাবদ সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা করে নিচ্ছে বিদ্যালয়।
এবিষয়ে জানতে দারিয়পুর গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৩৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান। কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক জানান, এমনি খরচ খরচা দিয়ে অনেক খরচ হয়ে যাচ্ছে ২৫৫ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে যাচ্ছে। অনলাইন করা , ভুল ত্রুটি সারা অনেক কিছু ঝামেলা আছে। আইডি নাম্বারে বাপের নামে একটা অমুকের নামে একটা বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা আছে। করোনা কালীন সময়ে আমরা যে কি বিপদে আছি বুঝা খুব গায়েবাদা ভাই। অনেককেই আমরা টাচ দিলাম ভাই আমরা এই অবস্থায় আছি কেউ দেখার নেই কেউ বলার নেই এই অবস্থা।
এ বিষয়ে আর আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সব খরচ দিয়ে ২২০ টাকা মত ধরা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বোর্ড নির্ধারিত ফিসের অতিরিক্ত এক টাকাও বেশি নেওয়া যাবে না। কোন খরচ হলে বিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে করতে হবে। এ ব্যাপারে যে বিদ্যালয়গুলো অতিরিক্ত অর্থ আদায় করবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।