অসৎ উপায়ে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (এমআরসিএম) পদে নিয়োগ পরিক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ৮ জনের ঠাই হলো শ্রীঘরে। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাদের তিন দিনের কারাদন্ডাদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন জেল হাজতে।
দন্ডিতরা হলেন, দিনাজপুর জেলার পিরগঞ্জ উপজেলার ধুনোট গ্রামের গিরিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে খগেন চন্দ্র রায়, একই জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ব্রাম্মনভিটা গ্রামের মোটা বাবুর ছেলে শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ জেলার ধুবনী বাজার এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে নুর মওলা, ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার পবহাটি পাড়া গ্রামের দিলীপ দেবনাথের ছেলে দিবস দেবনাথ, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার গুজুক গ্রামের মৃত মুন্নার ছেলে রফিকুল ইসলাম, শেরপুর জেলার সদর উপজেলার টাঙ্গারিপাড়া গ্রামের নাজিমুদ্দীনের ছেলে গোলজার হোসেন, নিলফামারী জেলার জলঢাকা দক্ষিণ বাগুনাপাড়া গ্রামের নুরুল হকের আরিফুল ইসলাম ও শেরপুর জেলা সদরের খানুয়াচারপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রাকিবুল হাসান সজীব।
গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্তরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে তিন দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা শারমিন দৃষ্টি।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা শারমিন দৃষ্টি বলেন, অসৎ উপায়ে অন্যের হয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এমআরসিএম পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে দঃবিঃ ১৮৬০ সালের ১৮৮ ধারার অপরাধে দোষি সাব্যস্ত করে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৭(২) মোতাবেক প্রত্যেককে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির আওতায় বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (এমআরসিএম) ৭০ টি পদের বিপরিতে নিয়োগ পরিক্ষায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আবেদনকারী অংশ নেন। এর মধ্যে অন্যের হয়ে অসৎ উপায়ে প্রক্সি দিতে এসেছিলেন দন্ডিতরা। গতকাল শুক্রবার সকালে মেহেরপুর সরকারি বালক বিদ্যালয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।