মেহেরপুর সদর উপজেলার অন্তর্গত বারাদি ইউনিয়ন সিংহাটি গ্রামে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। সিংহাটি গ্রামের হারদা বিলের অপরপাশে মাঠে প্রায় বিশ দুটি পুকুর থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গভীর গর্ত খুঁড়ে চলছে একটি অসাধু চক্রের বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ।
এসব বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার ফসলি জমি গুলো হুমকির মুখে পড়েছে। বদলে যাচ্ছে জমির শ্রেণি। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে এলাকার লোকজনের।
এছাড়াও উক্ত বালু বহনে ব্যবহার করা হচ্ছে যন্ত্রদানব খ্যাত ট্রাক্টর। এসব ট্রাক্টর পরিবেশ বিপন্ন করে চলছে দিবানিশি। ট্রাক্টরের বিশাল আকৃতির চাকায় পিষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট। প্রায় সকল রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে বাসিন্দাদের চলাচলে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
এছাড়াও রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টর চালানোর ফলে ধুলোবালি উড়ে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। এতে গ্রামবাসীর মাঝে বাড়ছে রোগ-বালাই। কিন্তু বালু উত্তোলকারী চক্রটিকে কোন ভাবেই দমানো যাচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ফসলি জমির মাঝখানে যেন বালুর চর জেগে উঠেছে। প্রতিদিন এই জায়গা থেকে অন্তত ৫০-১০০ গাড়ি বালি উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করা হচ্ছে। নিন্মমানের এই বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন সড়ক নির্মাণের কাজে। প্রতিদিন শত ট্রাক বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে বালু ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়ছে। মেহেরপুর প্রতিদিন
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। সরকারি অনুমোদন ছাড়া বালু বা মাটি কাটা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে জেল জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান। ভয়ে কিছু বলতে পারিনা আবার কিছু বললেও তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করে না।