ইফাদের অর্থায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর চৎড়সড়ঃরহম অমৎরপঁষঃঁৎধষ ঈড়সসবৎপরধষরুধঃরড়হ ধহফ ঊহঃবৎঢ়ৎরংবং(চঅঈঊ) প্রকল্পের আওতায় পিকেএসএফ-এর সহযোগী সংস্থা “ওয়েভ ফাউন্ডেশন” কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “বছরব্যাপী পিঁয়াজ উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি” শীর্ষক ভ্যালু চেইন প্রকল্পে মেহেরপুর পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকালে মেহেরপুর কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের মাঠ প্রাঙ্গণে মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ-এর সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক ড. আকন্দ মোঃ রফিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে কমপক্ষে ২০ শতাংশ পেঁয়াজ পঁচে যায়। পেঁয়াজের এই পঁচনশীলতার কারণে কৃষকেরা পেঁয়াজ তোলার পরপরই স্বল্প দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এছাড়া দেশে শুধুমাত্র রবি মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদনের ফলে বছরের শেষার্ধে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়। এই সংকট মোকাবিলায় ও কৃষকের অধিক আয়ের জন্য সারা বছর চাষযোগ্য গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বারি-৫ চাষ সম্প্রসারণে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।
এ সময় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন- সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পিকেএসএফ এখন দারিদ্র্য বিমোচনের বিভিন্ন অনুসঙ্গ নিয়ে কাজ করছে যার মধ্যে ব্যবসাগুচ্ছ ভিত্তিক ভ্যালু চেইন কর্মকাণ্ডের আওতায় অত্র এলাকার পেঁয়াজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে সহায়তা দিচ্ছে। ফলে বারি-৫ জাতের অধিক ফলনশীল এবং বছরব্যাপী উৎপাদনশীল বীজ সরকারের গবেষণাগার থেকে সংগ্রহ করিয়ে নিরাপদ চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন ও এতদ্বিষয়ে চাষীদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে চাষীরা পেঁয়াজের ব্যপক উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। এ প্রকল্প গ্রহণের আগে যেখানে বারী-৫ পেঁয়াজের উৎপদন ছিল শূন্য সেখানে এখন পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে ৮১০ মে. টন। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বছরব্যাপী উৎপাদন নিশ্চিত করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যার জন্য ইতিমধ্যে পাবনার ঈশ্বরদী ও সাঁথিয়া উপজেলাতে আরও ২,০০০ কৃষককে অর্ন্তভুক্ত করে কাজ শুরু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রকল্পের আওতায় পেঁয়াজের গুণগতমানের সনদ, ঐঅঈঈচ, এখঙইঅখ এঅচ, ঞৎধপবধনরষরঃু নিশ্চিত করে নিরাপদ মশলা খাদ্য হিসেবে এর ব্রান্ডিং করা হবে।
উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত কৃষকদেরকে স্বল্প ব্যয়ের অসনরবহঃ প্রকৃতির সংরক্ষণাগার ৬৫ জন কৃষকের মাঝে প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রদর্শনী প্রকল্প হতে অনুদান হিসাবে দেয়া হয় ১৬ টি টিন ও একটি ফ্যান। যার ফলে কৃষকেরা পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে সংরক্ষণ করে বিক্রি করে অধিকতর লাভবান হতে পারবেন। ইতোপূর্বে ২,২৫০ জনকে প্রশিক্ষণ, ১৭০ টি বীজ উৎপাদন প্রদর্শণী খামার এবং ১৩৭ বীজ সংরক্ষণাগার স্থাপনে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নাছরিন পারভিন, গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রাসেল রানা, দারিদ্র বিমোচন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবু জাফর, পি কে এস এফ এর ভ্যালু চেইন প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুম সরকার ও নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের প্রধার শিক্ষিকা সানজিদা ইসলাম প্রমুখ।