মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে ব্যারেল চিমনি দিয়ে ইটভাটা প্রস্তুত করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ইটকাটা শুরু করেছে ভাটা মালিকরা। ফলে পরিবেশ দুষনের আশংকা দেখা দিচ্ছে। গত বছরই ব্যারেল চিমনির ইটভাটা চুড়ান্তভাবে বন্ধ ঘোষনার পরেও বেশ কিছু ভাটা মালিক ব্যারেল চিমনির ভাটা প্রস্Íুত করছেন।
জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই সকল ভাটা মালিকরা। যে কোনভাবে চলতি বছর তারা ব্যারেল চিমনির ভাটা চালাতে উঠে পড়ে লেগেছেন।
এদিকে গত বছর মেহেরপুরের বর্তমান জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি ইটভাটা মালিক সমিতির সাথে মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন. মেহেরপুরে হয় ব্যারেল চিমনির ইটভাটা থাকবে, নয়তো আমি ডিসি হিসেবে মেহেরপুরে থাকবো। কিন্তু এই হুশিয়ারির পরেও ব্যারেল চিমনি ইটভাটা প্রস্ততির কাজ চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার টেংরামারি, টুঙ্গি, কলাইডাঙ্গা, বলিয়ারপুর গ্রামে ব্যারেল চিমনির ইটভাটা প্রস্তুতকরা সহ ইটকাটার কাজ চলছে।
টেংরামারি গ্রামে রবিউল ইসলাম নামের একজন ব্যারেল চিমনির ইটভাটা করেছেন। তিনি মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
টুঙ্গিতে আরটিবি নামের ইটভাটা প্রস্তুত করা হচ্ছে । ওই ভাটার মালিক হলেন আব্দুর রাজ্জাক দুদু। কলাইডাঙ্গা গ্রামে এসএসবি নামে ভাটা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই ভাটার মালিক হলেন সেলিম মোল্লা। বলিয়ার পুর গ্রামে টিএসবি নামের ভাটা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সেটির মালিক হলেন সেলিম ও তারিক নামের দুইজন।
এসকল ইটভাটার মালিকরা অভিন্ন ভাষায় সাংবাদিকদের বলেন, এ বছরের মত ব্যারেল চিমনি ভাটার অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন।
আগামি বছরে তারা ফিক্সড চিমনি তৈরি করবেন। যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের কাছে এ ধরণের কোন আবেদন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি বলেন, ব্যারেল চিমনি ভাটা তৈরির কোন সুযোগ নাই।
তারা জোর করেই এই ভাটা গুলো তৈরি করছেন। এ ব্যাপারে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগীতা চাই। দ্রæত ওই ইটভাটাগুলো বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-নিজস্ব প্রতিবেদক