আগামীকাল পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর বিশ্বের সকল দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে ভিড় লেগেছে মাংসের দোকানে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। প্রশাসনকি মনিটরিং না থাকায় মাংস ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামত দামি বাড়িয়ে অধিক মুনাফা করছেন। এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ক্রেতাদের।
মেহেরপুর পৌরসভার বাজারগুলোতে মাংসের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে কমপক্ষে ১০০-১৫০ টাকা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা। তবে মূল্যতালিকায় আগের দামই লেখা রয়েছে। চাহিদা বাড়ায় মেহেরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লাগুলোতেও মাংস বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় গরু, ছাগল ও মহিষ জবাই করতে দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা মানুষের হুজুগের সুযোগ নিচ্ছেন। মাংসের দাম বেশি রাখছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ এলে মানুষের মাংস কেনার হুজুগ বেড়ে যায়। এতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা মাংসের ব্যবসায় নামেন, যার প্রভাব পড়ে গরুর হাটে। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় কেজিপ্রতি মাংসের দামও বাড়ে।
মেহেরপুর গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ভিড় লেগেছে মাংসের দোকানগুলোতে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা কেজিতে। মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, খাসি ছাগল ৮০০ টাকা কেজি দরে।
আহাদ নামের এক ক্রেতা বলেন, সরকার মাংসের দাম বেঁধে দেয়নি। আগামীকাল ঈদ। মাংস বিক্রেতারা ইচ্ছামত দাম নিচ্ছেন। সকালবেলায় যে মাংসের দাম ছিলো ৫৫০ টাকা দুপুরে তার দাম ৭০০।
মাংস ক্রেতা ছানোয়ার হোসেন বলেন, বাড়ি থেকে জানতে পারলাম মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি হাটে এসে জানছি ৭০০ টাকা। তাই মহিষের মাংস আর নেওয়া হলো না। আসলে প্রশাসনের তদারকি না থাকায় মাংস বিক্রেতারা নিজের ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছে। একই জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন দাম।