মেহেরপুরে আযিম ওরফে রাজা(১৮) নামের এক মাদক মামলার আসামী ও মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক শাহ জালাল খান সহ তিন জনের সাথে ধস্তাধস্তি হয়েছে। পরে সরকারি কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলার অপরাধে রাজা আটক করে মেহেরপুর সর থানায় সোপর্দ করা হয়। সোমবার মেহেরপুর শহরের বোস পাড়ায় রাজার চাচা জাহিদের বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।
রাজার পরিবারের দাবি মাঝে মধ্যেই আমাদের বাড়িতে কারনে অকারনে মেহেরপুর মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর থেকে অভিযানে আসে। এ কারনে আমাদের বাড়ির মেয়ের কয়েকদিন আগে বিয়ে ভেঙে যাই। পাশের ঘরে রাজার চাচা জাহিদ থাকে। সেখানে অভিযানে আসলে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বাড়িতে কেন আসেন বলে গালি গালাজ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিদর্শক শাহ জালাল রাজার উপর চড়াও হয়। পরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এমন অবস্থায় এসআই খসরু আল মামুন ও সিপাহী সাইদুর রহমান এগিয়ে আসলে তাদের সাথেও টানা হেছড়া শুরু হয়।
পরে রাজাকে আটক করে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চোখ বেঁধে রাজাকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ করেছে রাজা। আযিম ওরফে রাজা মেহেরপুর শহরের বোস পাড়ার মাসুদের ছেলে। তার বিরুদ্দে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা আছে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক শাহ জালাল খান বলেন, এর আগে রাজার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রাজাকে গাজাসহ আটক করা হয়। কিন্তু সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজার পাশের বাড়ি তার চাচা জাহিদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে ফেরার পথে রাজা আমাদের উপর চড়াও হয়ে আক্রমন চালায়।
অপরদিকে এ ঘটনার সাক্ষি হালদার পাড়ার রাইহান পরিদর্শক শাহ জালাল খানের সাথে দেখা করতে গেলে সেখানে থাকা এ এস আই শহিদুল ইসলাম রাইহানসহ তার বন্ধু দিঘির পাড়ার মোতালেব এর ছেলে নাসির উদ্দিনকে অফিস থেকে বের করে দেয়। পরে অফিসের বাইরে এ এস আই ও তাদের সাথে তুমুল বাকবিতন্দা শুরু হয়। নাসির উদ্দিন জানান, আমি ও রাইহান পরিদর্শকের সাথে দেখা করতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে অফিস থেকে বের করে দেয়। সেই সাথে আমাদের বাঁশ দিয়ে মারতে চড়াও হয়। একজন সরকারি কর্মকর্তার এহেন আচরনে আমরা হতাশ। পরে পরিদর্শক শাহ জালাল খান এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উভয়ের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়।
মেপ্র/এমএফআর