মেহেরপুরের গাংনীতে বেসরকারি সংস্থা মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউকের বিরুদ্ধে অবৈধ পন্থায় সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্প পাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে গাংনী রুরাল ভিশন সংস্থার সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গাংনী উপজেলা এনজিও ফোরাম সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুরাল ভিশন সংস্থার পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের সকল জেলায় শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া শিশুদের হাতে-কলমে মিক্ষা দানের জন্য সেকেন্ড এডুকেশন নামের একটি শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলায় এ প্রকল্প কাজ করবে। যেখানে একটি জেলায় কমপক্ষে ৩-৪টি এনজিওকে সমন্বতিকভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে স্থানীয় মউক এনজিও তথ্য গোপন ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ করার জন্য নিয়োগ নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে জামায়াত-বিএনপি মনা এজেন্ট খ্যাত মউক এনজিওকে প্রকল্পটির কাজ করতে দেয়ায় এলাকায় নানাভাবে কানাঘেষা শুরু হয়েছে।
এদিকে সরকারিভাবে নিয়ম আছে যে, শিশু শিক্ষার্থী ঝরে পড়াদের নিয়ে কমপক্ষে ১০ বছর কাজ করেছে এমন স্থানীয় এনজিওকে সেকেন্ড এডুকেশন প্রকল্প দেয়ার কথা। সেখানে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে মউক এনজিওকে প্রকল্পটি দেয়া হয়েছে। মউক এনজিও ৪০-৫০ লক্ষ টাকার ভুয়া ব্যাংক সনদ দাখিল করেছে।
এ সংস্থাটির গঠনতন্ত্রে ঝরে পড়া শিশু শিক্ষার কোন অনুমোদিত নাই। আইসিটি এইচআর আর্থিক পলিসি চাইল্ড প্রটেকশন পলিসি ও ল্যাব নাই। সংস্থাটি ২০১০ সালে প্রতিবন্ধী, এতিম ও দুস্থদের কোরবানীর গোস্ত বিতরণের নামে মুসলিম এইডের ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে।
এছাড়াও ২০০৩ সালে ভোটার শিক্ষার নামে জামায়াত-বিএনপির নির্বাচনে সহযোগিতা করেছিল। ২০১২ সালে সরকারের সামাজিক বনায়নের গাছ কেঁটে সংস্থার পরিচালক জেল খেটেছিলেন। ২০০৬ সালে মেহেরপুর জেলার শিশু শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার নামে ব্যাংক ড্রাফট গ্রহণ করে ১০ লক্ষ টাকা বিএনপি সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে আত্মসাৎ করে।
এডাব নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় সেকেন্ড চান্স এডুকেন প্রকল্প জামাত-বিএনপি মনা এনজিও মউকের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে, বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ১০ হাজার গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও শিক্ষা সচিব বরাবর অভিযোগপত্র প্রদান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিআরসি’র পরিচালক এনামুল হক, শোভা সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল হালিম, ভিটাপাড়া নারী কল্যাণ সমিতির পরিচালক আছমা খাতুনসহ বিভিন্ন সংস্থার পরিচালক ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।