মেহেরপুরে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, বিষাক্ত রাসায়নিক যুক্ত এবং নকল খাবার বিক্রয়ের অভিযোগে পাঁচ ব্যবসায়ীকে এক মাস করে সাজা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ম কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ্ এ রায় দেন।
চার্জ শুনানিকালে আসামিরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না মর্মে অঙ্গীকার করেন। স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে চার শর্তে সাজা স্থগিত করেন আদালত।
শর্তগুলো হলো আগামী এক বছর তারা প্রবেশন কর্মকর্তা এবং জেলা স্যানিটারি অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকবেন, ভবিষ্যতে কোনো প্রকার ভেজাল বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো খাবার বিক্রয় করবেন না, নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামনে দৃশ্যমান স্থানে ভেজাল বিরোধী ব্যানার প্রদর্শন করবেন এবং আদালতের নির্দেশে যেকোনো সময় আদালতে হাজির হবেন।
প্রবেশন কর্মকর্তা এবং জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর প্রতি দুই মাস পর পর আসামিদের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রবেশনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে বা অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে একমাস কারাদণ্ডের সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
রায় প্রদানের সময় অভিযুক্ত ব্যবসায়ীসহ ব্যবসায়ী নেতারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই নিয়মিত ভেজাল বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে তারা অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য যে, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী প্রতি জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ম কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত হিসেবে বিশেষ কোর্ট পরিচালনা করেন। মেহেরপুরে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী এবং বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ্’র উদ্যোগে গতকাল সোমবার থেকে বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভেজাল এবং বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত নকল এক মন চেরি ফল জব্দ করে বিধি মোতাবেক ধ্বংস করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ এই রায় প্রদান করা হলো।