আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যন্তরীণ আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হবে।
ধান-চাল সংগ্রহ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর )সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম ঘর চত্বরে মেহেরপুর জেলা খাদ্য বিভাগ এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এম এম ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) দেবদূত রায়, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, কৃষক মহিদুল ইসলাম, খুশি রাইচ মিলের সত্বাধিকারী আজিরুল ইসলাম।
কৃষক মহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে খোলা বাজারেই প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩শ টাকা থেকে ১ হাজার ৪শ টাকা দরে। সরকার নির্ধারিত ধানের মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা। এজন্য কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে না। সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করলে একসাথে টাকা পাওয়া যায়। সেজন্য কিছু কৃষক সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করে বলে তিনি বলেন। কীটনাশক, সারসহ ধান চাষে খরচ বেড়েছে। সরকরিভাবে ধানের দাম বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
খুশি রাইস মিলের সত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাজারে ধানের বাজার দর বেশি। সরকার নির্ধারিত দামে গুদামে চাল দিলে লাভ হয় না। তিনি চালের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। এই মৌসুমে ৫০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ চাল দেয়ার আশা প্রকাশ করেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এম এম ইকবাল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন- জেলায় ৪৭ টাকা কেজি দরে ১০৯৫ মেট্রিক টন চাল, ৩৩ টাকা কেজি দরে ১৯৪১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন – কৃষকের কথা বিবেচনা করে এই মৌসুমে ধান ১ টাকা এবং চালের মূল্য ২ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমঝুপি খাদ্য গোডাউন কর্মকর্তা রেবেনা পারভিনসহ কৃষক ও চালকল মালিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।