মেহেরপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ঘোষণা করে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এম এ এস ইমন।
শনিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে তিনি এ মতবিনিময় করেন। এম এ এস ইমন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য।
মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, মেহেরপুরের মাটি উর্বর। যেখানে বছরে চারটা ফসল উৎপাদন হয়। এখানে মানুষের ভাত-কাপড়ের তেমন অভাব নেই। মেহেরপুরে সব থেকে বড় সমস্যা হলো কর্মসংস্থানের। কারণ এখানে শিল্পকারখানা নেই, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার নেই। মেহেরপুর আরও একটি বড় সমস্যা সেটি হলো শিক্ষার মান ভালো না। এখানে ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। অনেকে গ্রাজুয়েট পাশ করছে কিন্তু চাকরির বাজারে গিয়ে তারা টিকতে পারছে না। আমার ইচ্ছা এ দুটি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি গুরত্ব দেওয়া। বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারলে অন্যান্য যেসকল ছোট ছোট সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান হবে।
তিনি বলেন, বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য আমি মনে করেছিলাম, মেহেরপুরে একটি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা হওয়া দরকার। সে লক্ষ্যে মেহেরপুরের মানুষদের সাথে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থলবন্দর আন্দোলন করেছি। সরকার বিষয়টিকে গুরত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশ করেছে। আমি আশা করেছিলাম স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে। কিন্তু কোন না কোন ঘাটতির কারণে সেটি এখনও প্রতিষ্ঠা পাইনি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বৃহৎ রাজিৈনতক দল। এখানে নেতৃত্বের গ্রুপিং থাকবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন চাইবো। বাকিটা নেত্রির ইচ্ছা। তবে মেহেরপুরের মানুষের সাথে কথা বলে, তৃণমূল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জেনেছি সকলেই পরিবর্তন চায়।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমি যদি সুযোগ পাই বাল্যবিয়ে, ভিক্ষুকক্তু, মুজিবনগরভিত্তিক পর্যটন নগরীসহ মাদকের নির্মূলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাবেক সভাপতি আলামিন হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলমসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ এস ইমন গত জাতীয় নির্বাচনেও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে বিভিন্ন সময় বুকলেট বিতরণ, গণসংযোগ অব্যহত রেখেছেন।