ফেনসিডিল ও হেরোইন মামলায় মেহেরপুরের সেই বাদলকে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও তিন হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
মেহেরপুর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক রিপতী কুমার বিশ্বাস আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এ রায় দেন।
দন্ডিত মো: বাদল মেহেরপুর শহরের দীঘিরপাড়া এলাকার মৃত আজম আলীর ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই দুপুরের দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বনবিভাগের সামনে থেকে বাদলকে ৬ বোতল ফেনসিডিল ও ১০ গ্রাম হেরোইনসহ সদর থানার এসআই ছাহাবুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আটক করে।
ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ আইনের ২৫(১) বি ধারায় এবং হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১)ধারায় টেবিলের ১(ক)১৯(৪) পৃথক আরেকটি এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণপদ গাইন মামলাটি তদন্ত শেষে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি (১) ধারায় চার্জশীট প্রদান করেন।
আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক চার্জশীট প্রাপ্ত হয়ে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -১ মেহেরপুরকে প্রেরণ করেন।
মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতায় আইনের ২৫-বি(১)(বি) ধারায় দোষী সাবস্থ্য হওয়ায় তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, মো: বাদলের বিরুদ্ধে এর আগে প্রায় ডর্জন খানেক মাদক মামলায় যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। এছাড়া র্যাব ও পুলিশের খাতায় সে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে প্রায় ২ ডর্জ্জন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
মামলায় সরকারি পক্ষের কৌশলী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কাজী শহিদুল হক ও আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন আসাদুল আযম খোকন।