মেহেরপুরে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা আমির হামজা ও তার পিতা আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গতকাল রবিবার ফারহানা খাতুন মেহেরপুরের আমলি আদালত (গাংনী) হাজির হয়ে এ মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক জাহিদ হাসান আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদির অভিযোগ, অনুমান ১০ থেকে ১১ বছর পূর্বে আমির হামজার সাথে বাদি ফারহানা খাতুনের বিয়ে হয়। ঘর-সংসার করাকালীন তাদের একটি ১টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বিয়ের সময় যৌতুকের দাবী না থাকলে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণের পর হইতে তার স্বামী আমির হামজা তার পিতার কুপরামর্শে চাকুরি নাম করে ৫ লক্ষ টাকা ও ইয়ামাহা ব্রান্ডের মোটর সাইকেল কেনার জন্য ৩ লক্ষ টাকাসহ মোট ৮ লক্ষ টাকা দাবী করিলে বাদীর অভিভাবক সংগ্রহ করে তার হাতে তুলে দেয়। তার পরও ১নং আসামী প্রায়ই বাদীনিকে যৌতুক দাবী করিয়া বিভিন্ন সময়ে মারধোর ও জ্বালা-যন্ত্রনা দিতে থাকিলেও বাদীনি স্বামীর কর্মস্থলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে ঘর-সংসার করাকালীন সময়ে আসামী বাড়ী করার জন্য বাদীনির নিকট পুনরায় ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে বাদীকে অমানসিক ভাবে জ্বালা-যন্ত্রনা ও মারধর করিয়া ঘটনার তারিখের ৮/১০ দিন পূর্বে বাদীনিকে তার পিতার বাড়ীতে তাড়াইয়া দিয়া কোন খোঁজ খবর না নিলে বাদীনি আসামীদের যৌতুকের টাকা দেওয়ার লোভ দেখাইয়া খবর দিলে আমির হামজা তার পিতাকে সাথে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে আসে এবং সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় আলোচনার একপর্যায়ে বাদীর পিতাকে বলে বাড়ি করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক বাবদ দিলে বাদীকে নিয়ে ঘর-সংসার করিবে অন্যথায় তালাক দিয়া অন্যত্র বিবাহ করিয়া যৌতুক আদায় করবে বলে বাড়ী হইতে চলিয়া যায়।
মামলার বাদীর আইনজীবী মিয়াজান আলী বলেন, বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।