সড়ক দূর্ঘটনায় আহত প্রকৌশলী সুমি খাতুন (২৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নিহত সুমি খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের প্রকৌশলী তোহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ও গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের আব্দুল গনির মেয়ে।
সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে প্রায় ২২ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সুমি খাতুন এক সন্তানের জননী। গত ৫ মে গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামে বাবার বাড়ি আসার সময় উপজেলা শহরের রাজা ক্লিনিকের সামনে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মারাত্বক আহত হন সুমি।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। ২২ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবা দিবাগত রাত ৯ টার দিকে মারা যান তিনি।
সুমি’র বড় ভাই গাংনী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জান মহাম্মদ মিন্টু জানান, আমাদের একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে এসেছিলো তারা। স্বামীর সাথে মোটরসাইকেল যোগে চেংগাড়া থেকে হিজুলী গ্রামে ফিরছিলেন তারা।
পরের দিন তাদের কর্মস্থল ঢাকাতে ফেরার কথা ছিল সুমি ও তার স্বামীর। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চেংগাড়া বাবার গ্রামে নামাজে জানাযা শেষে কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে প্রকৌশলী সুমি খাতুনকে।