মেহেরপুরের গাংনীতে ২০ বয়সী বিবাহিত মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের আশারুল ইসলাম (৪৫)। আজ শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রয়ারি ভিকটিম বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওইদিন রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভিকটিম ঘুমিয়ে পড়ে। পরে আনুমানিক ২ টার দিকে ভিকটেমর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কারো স্পর্শ অনুভব হওয়ায় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভেঙে মোবাইলের আলোতে দেখে যে, তার বাবা আশারুল হক তার বিছানায় বসে আছে।
সে তাকে জিজ্ঞাসা করে ‘‘আব্বু তুমি এতো রাতে এখানে কি করো’’ এই কথা বলার সাথে সাথে আসামী কোন কথা না শুনে জানোয়ারের মত তার বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামীর তার নিজ কক্ষে চলে যায়। সে তার পিতার এ ধরণের কাজের ফলে জ্ঞান শুন্য হয়ে নিজেকে ছয় দিন র্পযন্ত ঘরে বন্দি করে রাখে।
ভিকটিমের মা ভিকটিমকে ঘর থেকে বের না হবার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম তার মাকে বিস্তারিত কারণ খুলে বলে। ভিকটিম তার মাকে জানায় পূর্বেও আসামী আশারুল হক বিভিন্ন সময়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতো কিন্তু লজ্জায় এ কথা কাওকে বলতে পারেনি।
পরবর্তীতে গত ১৪ মার্চ গাংনী থানায় এসে ভিকটিম তার বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। যার মামলা নম্বর ১৭, তারিখ ১৪/০৩/২৫ ইং।
গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল বলেন, ভিকটিম মামলা সেই মামলায় ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ তার বাড়ি থেকে আশারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।