মেহেরপুর জেলায় গত ২ সপ্তার ব্যবধানে ৪ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গাংনী উপজেলায় তিনটি ও মেহেরপুর সদরে একটি। পরকিয়া ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এইসব হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৯ মে মেহেরপুর সরদ উপজেলার পুরাতন দরবেশপুর গ্রামের শাহাজাহান এর ছেলে সুজন হত্যার ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ ছিল চাচাতো ভাবি শিরিনা খাতুনের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারনে খুন হয় সুজন। এ ঘটনায় ভাবি শিরিনা ও সুজনের বউ কাকলিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কাকলিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও শিরিনা খাতুন রয়েছে জেল হাজতে ।
গত ১৬ মে গাংনী উপজেলার কাজিপুরে লিচু বাগান দখল করাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের ২জনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মৃতরা হলেন ইসমত কবির ডাবলু ও অপর পক্ষের সানারুল। এঘটনায় নিহত ইসমত কবির ডাবলুর মা ইসলামা খাতুন বাদি হয়ে গাংনী থানায় ১০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে নিহত সানারুলের স্ত্রী রশিদা বেগম বাদি হয়ে ২ জনকে আসামী করে একই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এ খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।
গত ২৮ মে গাংনীর বামুন্দির একটি বাসা থেকে সুন্দরী নামের এক পরিছন্নকর্মির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সাথে একই বাড়ি থেকে সুন্দরীর স্বামী রুস্তম আলীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পার হলেও এখনো রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। নিহত সুন্দীরর মামা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানান ওসি ওবাইদুর রহমান।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুরে যেসব খুনের ঘটনা ঘটেছে সেটা মূলত সামাজিক অস্থিরতার কারনে। পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রন্ত বিষয়ের জের ধরেই এই খুনগুলো হয়েছে। গাংনীর বামুন্দিতে যে লাশ উদ্ধার হয়েছে সেটি বাদে অন্য খুনের রহস্য সবারই জানা আছে। এজন্য আসামীরা আত্মগোপন করে আছে। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বামুন্দি খুনের রহস্য উদঘাটন ও অন্য খুনের সাথে জড়িত আসামীদের দ্রæত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মেপ্র/এমএফআর