মেহেরপুর সদর উপজেলা আমদাহ গ্রামে জমিজমার জেরে লাল বানু (৪৫) ও শাহ আলম (২৫) নামে দুজনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, আব্দুর রহমানের ছেলে গোলাম ও ইসমাইলের ছেলে মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে।
আহতরা হচ্ছেন সদর উপজেলার আমদাহ গ্রামের শাহ জামালের স্ত্রী লালবানু ও ছেলে শাহ আলম। শুক্রবার দুপুরে এঘটনা ঘটে।
শাহ জামাল জানান, গত ২৬ বছর আগে আমি বসতবাড়ির ৫ কাঠা জমি ক্রয় করেছি আমদহ গ্রামের আব্দুর রহমান পাচুর মেয়ে ফেরদৌসী ও ছেলে আরশাদ আলীর নিকট হতে। ফেরদৌসীর ছেলে সোহেল রানা দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে ও আমার পরিবারকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। গত কয়েকমাস আগে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ২০ দিন জেল খাটিয়েছে ওরা।
তিনি আরও বলেন এই জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য শুক্রবার দুপুরের দিকে সোহেল রানা, গোলাম ও মিন্টুসহ কয়েকজন বাড়ীতে ঢুকে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করে। আমার ছেলেকে হাসুয়া দিয়ে হাতে একটি কোপ মারে। এতে আমার ছেলে আহত হলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে মেহেরপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
পরে স্থানীয়রা সাহেবপুর ক্যাম্পে খবর দিলে পুলিশ এসে সোহেল রানা কে আটক করে নিয়ে যায়।
সাহেবপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই নবী জানান, আমদাহ গ্রামে মারামারি হচ্ছে এমন সংবাদে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সোহেল রানা কে আটক করে থানায় প্রেরন করি। দুপক্ষে সাথে বসে মিমাংসার ব্যবস্থা করা হবে।