সন্ত্রাস বিরোধী আইনে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২)’র অভিযানে গ্রেফতারের একদিন পরেই জামিনে মুক্তি পেলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের বিচারক মো মনজুল ইমামের আদালতে জামিনের আবেদন করলে তিনি জামিন দেন।
মেহেরপুর জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, খন্দকার আব্দুল মতিনসহ কয়েক ডজ্জন আইনজীবী সিনিয়র আইনজীবি জামিনের আবেদন করেন।
তবে, একই মামলায় পৃথকভাবে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেকের পক্ষে জামিনের আবেদন করলেও তিনি জামিন পাননি ।
অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী বলেন, মেহেরপুর জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলমের পক্ষে জেলা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে জেলা জজকোর্টের বিচারক মো মনজুল ইমাম এ্যাডঃ শফিকুল আলমের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিক জামিনের পর অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞ। সাংবাদিকরা আমার ব্যাপারে সবাই পজেটিভ সংবাদ পরিবেশন করেছে। তিনি আরও বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার উদ্দেশ্য আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ খালেক এবং যুগ্ম সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শফিকুল আলমকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-১২) সিপিসি-৩ গাংনী ক্যাম্প পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করেন।
তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) ধারা ৬(২)/১০/১১/১২/১৩ মূলে দায়ের করা মামলা যার নম্বর -১১, তারিখ ১৯/০৮/২৪ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।