মেহেরপুর জেলা পরিষদের গাছ বিক্রয়ের দরপত্র জমা দিতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আজ বুধবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মজিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মজিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল লতিফের নামে আমি ও লতিফ দুজনেই টেণ্ডার জমা দিতে গিয়েছিলাম। এ কাজে ৫টি লট মিলে এক কোটি ৯ লাখ টাকা সিডি করেছি। কিন্তু সিডিউল জমা দিতে গেলে দূর্বৃত্ত তৌহিদ, নাসির, আয়ুবসহ কয়েকজন বাঁধা দেয় এবং ধস্তাধস্তি করে এবং সিডিউল জমা দিতে না পেরে ফিরে এসেছি।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম তিনি কোন সমাধান দেননি। যখন শেষ সময় পর্যন্ত জমা দিতে না পেরে ডিডিএলজি মহোদয়ের নিকট অভিযোগ দিতে গেলে তিনি অভিযোগও নেননি।
এদিকে এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেছেন, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একজন দেরি করে গিয়ে সিডিউল জমা দিতে পারেননি এমন অভিযোগ পেয়েছি। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বা জেলা পরিষদে সিডিউল জমা দিতে পারেননি এমন কোন অভিযোগ পাননি।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেণ্ডার বক্স থেকে কোন সিডিউল পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পরিষদের টেণ্ডার বক্স থেকে ২ সেট সিডিউল পাওয়া গেছে। আগামী ২ জানুয়ারি মূল্যায়ন কমিটির সভা থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তার আগে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেছিলেন, টেণ্ডার জমা দেওয়া নিয়ে কোন রকম ধস্তাধস্তি বা বাঁধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরে টেণ্ডার ড্রপ করতে গিয়ে তারা জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও এসপি অফিসে ছিলো। কেউ যদি আওয়াজ দেয়, জমা দেব জমা দেব, আমাকে টাকা দেও। কিছু কাগজ নিয়ে যদি বলে আমাকে টাকা দাও, আমি কি কাউকে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা রাখি? এসপি অফিসে বক্স ছিলো না উত্তরে তিনি বলেন ছিলো এবং স্বপক্ষে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একটি চিটিও দেখান। তিনি বলেন, আমি নতুন লোক, আমার গায়ে কাদা লাগানোর চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, মুজিবনগর-দর্শনা সড়কের ১৩৯টি ও মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি মেহগনীসহ মোট ১৪০টি গাছের বিক্রয়ের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিলো গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ কাজটি পাওয়ার জন্য ২৯ জনের নামে ১৮টি সিডিউল বিক্রি হয়। কিন্তু ১৮টির মধ্যে মাত্র ২টি সিডিউল জমা পড়ে।