মেহেরপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আওতায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের বিভিন্ন মাঠে গত এক মাস ১৩ দিনে ১৩ টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওই সব মাঠের শত শত বিঘা জমির সেচ কার্য নিয়ে শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা।
গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের মাঠ একরাতে ৪টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের কয়েল চুরি হয়েছে। ফলে ওই মাঠের অর্ধশত বিঘা জমির সেচকাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
গতকাল বুধবার (১২ জুন) দিবাগত রাতের কোন এক সময় এই ট্রান্সফরমারের কয়েল চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রামনগর বাজারের পাশে শহিদুল ইসলামের ইটভাটায় বৈদ্যুতিক সংযোগের ৩টি এবং স্থানীয় কৃষক নান্নু হোসেনের পাম্পের ১টি ট্রান্সফরমার ওই পুলে ছিল। রাতের আধারে চোরেরা বৈদ্যুতিক পোল থেকে ট্রান্সফরমার খুলে ফেলে। ট্রান্সফরমারের কভার ভেঙ্গে ভেতরের কয়েল চুরি করে নিয়ে যায়।
এতে জামাল ইটভাটার যন্ত্রপাতি ও স্থানীয় মাঠের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ওই মাঠের অর্ধশতাধিক বিঘা জমির সেচ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়মানুযায়ী ট্রান্সফরমার চুরি হলে নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপনের সব খরচ গ্রাহককে বহন করতে হবে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সেচ পাম্প মালিকরা।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বামন্দী জোনাল অফিসের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার হানিফ রেজা জানান, চুরির ঘটনায় থানায় জিডি করা হচ্ছে।
এদিকে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম কারিগরী শ্যামল কুমার মল্লিক জানান, গত এক মাস ১৩ দিনে মেহেরপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আওতায় মেহেরপুর অঞ্চলে ৫ টি ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে ৮ টিসহ ১৩ টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রামনগর মাঠে ৪ টি, সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের মাঠে ১টি, আলমডাঙ্গা উপজেলার পাক্কুলা মাঠে ২ টি, বলরাম মাঠে ২ টি, দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রাবাস মাঠে ১ টি ও পিরপুরকুল্লাহ মাঠে ৩ টি ট্রান্সফার চুরি হয়েছে।
শ্যামল কুমার মল্লিক আরও জানান, পল্লী বিদ্যুতের মিটার চুরি ঠেকাতে সমিতির উদ্যোগে ইতোমধ্যে এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টি করতে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, গ্রাহক মোটিভেশন সভা, স্থানীয় প্রশাসন অবহিত করাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি ধরা পড়েনি। এ দিকে ট্রান্সমিটার চুরির ফলে মাঠের সেচ কার্য নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা।