মেহেরপুর বড় বাজার সংলগ্ন এলাকায় পানির ট্যাংক বসানোকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আদিব হোসেন আসিফ এর সাথে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন এর বাকবিতন্ডা হয়।
এই পরিপেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আদিব হোসেন আসিফ এবং সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন সাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়।
তার প্রতিবাদে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন তার নিজস্ব ফেসবুকে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে।
ফেসবুক পোষ্টটি হুবহু তুলে দেওয়া হলোঃ
সম্মানিত পৌরবাসী আসসালামালাইকুম।
আমি মনে করেছিলাম কিছু লিখব না কিন্তু কিছু তেলবাজদের পোস্ট দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের ভাইয়ের ছেলে, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ হাসান আসিফ শহরে দুই একটি স্পটে এই ধরনের হাত ধোয়ার জন্য ট্যাংক বসাইছে। মেহেরপুর বড়বাজার কাঁচাবাজারে একটি দোকানের সামনে ব্যস্ততম রাস্তার ওপরে পৌরসভার পারমিশন ছাড়াই এই টাংকিটি বসিয়েছে। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে রাস্তাটি নতুন করা হয়েছে। আমাকে অনেক বাজারের ব্যবসায়ীরা এটা সরানোর জন্য বলেছে আমি স্পটে যেয়ে দেখি রাস্তার উপরে টাংক টা বসানো হয়েছে। যেখানে কোন বেসিনের ব্যবস্থা নাই। পানি সরাসরি রাস্তার উপরে পড়ছে এর কারনে এলাকাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়া ও ডেঙ্গু আশঙ্কা আছে এবং দৈনন্দিন মানুষের চলাচলে বাধাও সৃষ্টি হচ্ছে। সেজন্য এই ট্যাংক টি বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে, তাতে মন্ত্রীমহোদয়ের ভাইয়ের ছেলে আমার সাথে অনেক বাজে ব্যবহার করেছে। তার ব্যবহার দেখে আমি খুবই মর্মাহত। একজন ছাত্রলীগ কর্মীর কাছে এরকম ব্যবহার আমি আশা করিনি। আমি জনগণের ভোটে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত মেয়র। জনগণের সুরক্ষার দায়িত্ব আমার। জনগণ যেটাতে ভালো থাকবে সেটাই আমি করবো। আর এতে যদি কারো ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত লাগে তাহলে আমার কিছু করার নাই।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ক্ষমতাবলে কারো অসৌজন্যমূলক এমন আচরণ এটা মোটেও কাম্য নয়। আমরা এক্ষেত্রে মন্ত্রী মহোদয়ের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মেপ্র/এমএফআর