সদ্য ঘোষিত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে (শিশু সাহিত্য) মনোনীত বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক রফিকুর রশীদ বলেছেন, যে কোনো পুরস্কার পাওয়া আনন্দের ঘটনা। আমি আমার আনন্দের সাথে যুক্ত করতে চাই দায়িত্বের কথাটিও। এখন থেকে আরো একটু দায়িত্ব বেড়ে গেলো। আমি আমার সাহিত্যে যাদের কথা বলতে চাই, যেভাবে বলতে চাই, সেটাকে আরো গুছিয়ে আনা, আরো সামনে আনা জাতীয়ভাবে তুলে ধরতে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় কবির নিজ বাসভবন নীল আঁচলে মেহেরপুর জেলার একমাত্র পত্রিকা মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার দেওয়া ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের মেহেরপুরের প্রতিনিধিত্বশীল দৈনিক কাগজ মেহেরপুর প্রতিদিন আমাকে ক্রেষ্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে সম্মাননা জানিয়েছে। মেহেরপুর প্রতিদিনের দেওয়া সম্মাননা আমাকে আমার দায়িত্বশীলতার যায়গাতে আরও একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। মেহেরপুর প্রতিদিনকেও শুভেচ্ছা জানান ও পত্রিকার দীর্ঘায়ূ কামনা করেন তিনি।
মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন ও ব্যবস্থাপনা সম্পদক মাহবুব চাঁন্দু মেহেরপুরের এই গুণী কবি ও সাহিত্যিকের হাতে প্রথমে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন ও সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন।
এসময় গাংনী ডক্টরস পয়েন্টের সত্বাধিকারী ডাক্তার সজীব উদ্দীন স্বাধীন, মেহেরপুরে প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিনিধি জুলফিকার আলী কানন, গাংনী প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান, আইটি প্রধান রোকনুজআমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৩ জানুয়ারী) বাংলা একাডেমী থেকে উপর মোট ১১ জনকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেয়। রফিকুর রশীদ শিশু সাহিত্যের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে বই মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার প্রদান করবেন।