মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদির সিংহাটি গ্রামে আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আমিরুল কসাই, আমিরুলের ছেলে শহিদুল ও মেয়ে জামাই সাইদুর রহমান পচার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সিংহাটি জোলের মাঠে এঘটনা ঘটে। আব্দুল্লাহ একই গ্রামের খাইরুল বাশারের ছেলে। আব্দুল্লাহ বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানাগেছে, সিংহাটি জোলের মাঠে গত ৬-৭ মাস আগে আব্দুল্লাহ একই এলাকার মৃত বদরমালের মেয়ে ভানু খাতুনের জমি ক্রয় করে। জমিটি আমিরুলের জমির পাশাপাশি হওয়ায় পূর্বে থেকেই ওই জমিতে নজর ছিলো আমিরুলের। আব্দুল্লাহ ওই জমি ক্রয় করার পর থেকেই আমিরুল আব্দুল্লাহর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যার জের ধরে আমিরুল প্রায়ই জমি ছেড়ে দিতে আব্দুল্লাহকে হুমকি দিতে থাকে। জমির অংশীদার বা শরীক না হয়েও জমি নিয়ে আদালতে একটি মামলাও করেন আমিরুল। সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আব্দুল্লাহকে পিটিয়ে আহত করে আমিরুল, শহিদুল ও সাইদুর রহমান পচা।
এবিষয়ে আব্দুল্লাহ বলেন, শুক্রবার সকালে আমি আমার জমিতে বিষ দিচ্ছিলাম এমন সময় আমিরুল, আমিরুলের স্ত্রী ও তার ছেলে শহিদুল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে আসে। এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিতে থাকে। আমিরুল আমাকে জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। জমি ছেড়ে না দিলে সে আমাকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে শহিদুল তার দুলাভাই সাইদুর রহমান পচাকে ডেকে নিয়ে আসে। পচা এসেই আমাকে বলে তুই এই জমিতে এসেছিস কেন। এই জমি এখন আমাদের। তখন আমি পচাকে বলি জমি কার সেটা কাগজে বলবে। তুই অন্য পাড়ার লোক তুই কথা বলিস না। যা কথা হবে তোর শশুরের সাথে। এক কথা বলতেই তারা আমাকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে আমার আত্মীয় স্বজনেরা আসলে তারা পালিয়ে যায়। আমিরুলের এক মামাতো ভাই পুলিশ কনেস্টেবল। সে মেহেরপুর থানায় চাকরিরত আছে। তাকে দিয়েও বিনা কারণে আমাকে হয়রানি করেছে। ওই কনেস্টেবল দুইবার এসে আমাকে জমি ছেড়ে দিতে হুমকি দিয়ে গেছে। কথায় কথায় ওই কনেস্টেবলের জোরে হামলা মামলার ভয় দেখায়।
এবিষয়ে শহিদুল বলেন, ওই জমি নিয়ে মামলা চলছে। মামলা মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত জমিতে যে যেখানে আছে সেখানেই চাষ করবে। আজকে সে আমাদের অংশের জমিতে বিষ দিচ্ছিলো। আমি আমার আব্বা ও দুলাভাই তাকে বিষ দিতে নিষেধ করি। একপর্যায়ে আমার দুলাভাইয়ের সাথে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তাকে মেরে আহত করার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আব্দুল্লাহর পরিবারের লোকজন।