পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি ও জামায়াতের তিন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার ধর্মচাকি গ্রামের মৃতু বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের ছেলে ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু (৫৮), সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মৃত আতাহার আলীর ছেলে স্থানীয় বিএনপি নেতা আসাদুল ইসলাম(৫০) ও মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি গ্রামের আবু জাফরের ছেলে জামায়াত রোকন জিনারুল ইসলাম (৪৩)।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গাংনী উপজেলা শহরের চৌগাছা গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে কুতুবপুর গ্রামে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতা আসাদুল ইসলামকে ও ভোররাতের দিকে সুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি গ্রামে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জামায়াত রোকন জিনারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশের পৃথক টিম।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসাদুজ্জামান বাবলুকে গাংনী থানার পুলিশের দায়ের করা নাশকতা মামলা নং ২০, তারিখ
১২/১১/২৩ ইং, বিএনপি নেতা আসাদুল ইসলামকে বিস্ফোরক আইনে ২০২৩ সালে সদর থানা পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলা নং ৩১ ও জামায়াত নেতা জিনারুল ইসলামকে ২০২৩ সালে পুলিশের দায়ের করা নাশকতা ও বিস্ফোরক আইন মামলা নং ১৯ গ্রেফতার দেখিয়ে আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম, সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কেএম রেজাউল হক ও মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন এই গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকারের যুলুম নির্যাতনের অংশ হিসেবে বিএনপির নেতা কর্মীদের গণগ্রেফতার চালাচ্ছে সরকার। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনার পর মেহেরপুরে গত কয়েকদিনে বিএনপি জামায়াতের অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।