করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এ দেশ যখন দিশেহারা, সরকার এক প্রকার বাধ্য হয়ে ১ সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে তখন মেহেরপুর সোনালী ব্যাংক এক অন্য জগৎ।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সময় সীমিত হওয়ার কারণে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ব্যাপক ভিড় করছেন গ্রাহকরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর সোনালী ব্যাংকের শাখায় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এ যেন এক অন্য জগৎ। বাইরে ঠেলাঠেলিতে অপেক্ষমাণ গ্রাহকদের নেই সুরক্ষা ব্যবস্থা। কে আগে সেবা নেবেন এ নিয়ে প্রতিযোগিতা লেগে গেছে গ্রাহকদের মধ্যে। এতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গ্রাহকরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম নেই। ব্যাংকের বাইরেও প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কয়েক’শ গ্রাহক ব্যাংকের ভিতর থেকে মেন গেট পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাঁ ঘেষে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এদের কেউ কেউ মাস্ক ব্যবহার করলেও অনেককেই মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে এক গ্রাহক বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব না মেনে কোনো প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া যেভাবে ব্যাংকে গ্রাহকরা ভিড় করছেন তাতে সকল গ্রাহক এবং ব্যাংকের কর্মকর্তারাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে চরম বিপর্যয় আসতে পারে।’
মেহেরপুর সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার নাজমুল হক বলেন, আমরা সরকার থেকে নির্দেশনা পেয়েছি সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। খোলা থাকার সময় কমিয়ে দিলে যে জনসমাগম কম হবে এমন তো না। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা সবদিক থেকে চেষ্টা করেও পারছি না, তাই এত উপচে পড়া ভিড় জমে যাচ্ছে।