নিম্নমানের লবণ বাজারজাতকরণের অভিযোগে মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবণের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন ও মেহেরপুরের ডিলার আকবর আলীর বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়ের করেন উপজেলা স্যানিটারি ইনস্পেক্টর মো: তরিকুল ইসলাম।
আজ রবিবার মেহেরপুর বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ প্রদান করেন।
একই সঙ্গে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে মেহেরপুরের সকল দোকান/বাজার থেকে মধুমতি লবণ প্রত্যাহার করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আসামিদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া আগামী ২১ মে তারিখের মধ্যে আসামিদের আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন মেহেরপুরের বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
এই মামলার আসামীরা হলেন খুলনার ফুলতলার মধুমতি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন ও মেহেরপুর ২নম্বর ওয়ার্ড গার্লস স্কুল পাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে আকবার আলী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গত ৩০ জানুয়ারি লবণে আয়োডিনের মাত্রা যাচাইয়ের জন্য নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। উক্ত পরীক্ষার ফলাফলের সনদ পর্যালোচনায় দেখা যায় মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবনের রাসায়নিক পরীক্ষায় পণ্যটি “মানসম্মপন্ন নয়” মর্মে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মতামত প্রদান করেছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিগত ১৪/০৫/২০১৯ খ্রিঃ তারিখের বিএসটিআই-এর পরীক্ষায় নিম্নমানের হওয়ায় ৫২ টি পণ্য জরুরী ভিত্তিতে উৎপাদন, পক্রিয়াকরণ, মজুদ, পরিবহণ, পরিবেশন, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ এবং বাজার হতে প্রত্যাহার ও জব্দকরণ তালিকায় আয়োডিন যুক্ত লবন মধুমতি সল্ট ইন্ডাঃ, ফুলতলা, খুলনা কে বাজার হতে তার পণ্য প্রত্যাহার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এই কোম্পানীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও মানসম্মপন্ন নয় এমন পন্য উৎপাদান ও বাজারজাতকরণের অভিযোগ রয়েছে মর্মে আদালতের দৃষ্টি গোচর হয়।
এমনকি বাজার থেকে মধুমতি লবণ প্রত্যাহার/উঠিয়ে নেওয়ার জন্য ২নং আসামি মোঃ আকবর আলী (ডিলার) কে স্বাস্থ্য বিভাগ হতে গত ১০/০৩/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে নোটিশ ইস্যু করা হলেও আসামিরা তা অমান্য করে পুনরায় উক্ত লবন সরবরাহ করছে এবং বাজার হতে মানহীন লবন প্রত্যাহার করেননি।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে আসামীদের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৫৮ ধারা ও তপসীল বর্ণিত ৩নং ক্রমিকে উল্লেখিত ২৬ ও ৪১ ধারার অপরাধ আমলে নিয়ে এই আদেশ প্রদান করেন। আদালতে নালিশকারী স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।