মেহেরপুরে হয়রানির উদ্দ্যেশে মিথা মামলা করায় বাদীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার গাংনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মোঃ আবু জাফর এবং আসামী মোছাঃ চামেলী খাতুন স্বামী-স্ত্রী ছিল। আসামী মোছাঃ চামেলী খাতুন বাদীরবিরুদ্ধে সি র আর-৩০/২০২২, নারী শিশু-৯৬/২২, পরিবারিক- ২২/২২ নং মামলা দায়ের করেন, যা বিচারাধীন। মামলার আসামী মোছাঃ চামেলী খাতুন তার ও সন্তানদের খোঁজ খবর না নেওয়ায় ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এই মামলার নালিশকারী মোঃ আবু জাফরকে তালাক প্রদান করেন। বাদী উক্ত মামলা হতে অব্যহতি পাওয়ার জন্য একটি দুর্ঘটনাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র দাখিল করে মিথ্যা ঘটনা উল্লেখ করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ঘটনার তারিখ গত বছরের ১০ অক্টোবর বাদী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ সংক্রান্তে কোন তথ্য পাননি।
একইসঙ্গে নালিশী দরখাস্ত, অনুসন্ধান প্রতিবেদন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নালিশকারী কর্তৃক আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং হয়রানীকর বলে আদালত মনে করেন। বিধায় মিথ্যা মামলা দায়েরের দায়ে নালিশকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন বলে আদালত মনে করেন। এবং কার্যবিধির ২০৩ ধারায় মামলাটি খারিজ করেন এবং মিথ্যা মামলা করার অপরাধে বাদীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।