চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আজ মাঠে নামছে স্বাগতিক ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে স্বাগতিক ভারত এবং অপর দিকে পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বরে অবস্থান করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দুই শক্তিশালী দলের লড়াই মাঠে গিয়ে দেখতে মুখিয়ে আছে দর্শকরা।
তবে কালোবাজারির কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাচ্ছেন না দর্শকরা। আর টিকিট পেলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১০ গুণ চড়া দামে। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচের আগে টিকিট না পেয়ে স্টেডিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করছে টিকিটপ্রত্যাশী দর্শকরা। সাধারণ দর্শকরা বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না, স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নভাবে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। সেসব টিকিটের দাম নির্ধারিত টিকিটের দামের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি।’
এখন পর্যন্ত সিএবির সদস্যদের অধিকাংশই টিকিট পাননি। ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করার সংস্থার বিরুদ্ধে কালোবাজারির অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেছেন। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগে এখন পর্যন্ত ২১ জন গ্রেফতার করছে ভারতীয় পুলিশ এবং সেইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১২৭টি টিকিট।
অভিযোগ ওঠেছে অনলাইনে যে সংস্থা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর টিকিট বিক্রি করছে তাদের পাশাপাশি, সিএবি এবং বিসিসিআই কর্তারা টিকিট সরিয়ে দিয়েছেন। সেই টিকিট কালোবাজারে চলে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের এই দুই থানায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত মোট সাতটি এফআইআর হয়েছে সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ঐ সংস্থার বিরুদ্ধে।
টিকিট প্রসঙ্গে সিএবির সভাপতি বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ আইসিসির ইভেন্ট। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) একটি সংস্থাকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি করার দায়িত্ব দিয়েছে। সিএবি শুধু ম্যাচের আয়োজক। আমরাও টিকিট পেয়েছি অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ঐ সংস্থার মাধ্যমে। চাহিদার তুলনায় অনেক কম টিকিট পেয়েছি আমরা। ফলে ক্লাব, অনুমোদিত সংস্থা, সদস্যদের নির্ধারিত কোটা কমাতে হয়েছে।’ এর আগে কালোবাজারি ইস্যুতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন, ‘টিকিটের কালোবাজারি অভিযোগ নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আমরা সিএবি এবং অনলাইন সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। আমরা তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। কিন্তু, আরো তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন রয়েছে।’