যেভাবে রাতের আঁধারে দাফন করা হয় খুনি মাজেদের লাশ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের পর ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারা নিজ গ্রামে লাশ দাফন করার কথা থাকলেও স্থানীয়দের বাধার মুখে তা করা সম্ভব হয়নি।
বহু নাটকীয়তার পর কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকায় মাজেদের শ্বশুরবাড়িতে লাশ দাফন করা হয়।
খুনি আবদুল মাজেদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন অতি গোপনে লোকচক্ষুর অন্তরালে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফনের পরই তারা রাতের আঁধারে এলাকা ত্যাগ করে। এলাকাবাসী কিছুই টের পায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শম্ভুপুরার হোসেনপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের লাশ তার চাচা শ্বশুর আক্কাস আলী ও পরিবারের স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সযোগে হোসেনপুর এলাকায় নিয়ে আসেন।
এ সময় লাশের পেছনে প্রশাসন ও পুলিশের একাধিক গাড়ি টহলরত অবস্থায় ছিল। পরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই তড়িঘড়ি করে তার শ্বশুরবাড়ির ৪-৫ জন লোক মিলে প্রথমে জানাজা দেয়।
পরে খুব গোপনে লাশটি দাফন করে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। সকালে এলাকাবাসী বিষয়টি জানার পর চরম ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং মাজেদের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ভিড় করেন।
তবে হোসেনপুর এলাকায় লাশ দাফনের বিষয়টি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কেউ আগে থেকে জানত না বলে দাবি করা হয়। তারা বিষয়টি পরে জেনেছেন বলে স্বীকার করেন।
হোসেনপুর এলাকায় বসবাসরত সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবু সিদ্দিক মোল্লা জানান, আবদুল মাজেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। তার মতো আত্মস্বীকৃত খুনির স্থান সোনারগাঁওয়ের পবিত্র মাটিতে হবে না। এ ব্যাপারে ওসমান গনি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জামান মোল্লা জানান, সোনারগাঁওয়ের পবিত্র ভূমিতে খুনি মাজেদের লাশ রাখতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রশাসন এগিয়ে না এলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কবর থেকে লাশ তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হবে।
সূএ-যুগান্তর