গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পরও শ্রীলংকায় অস্থির অবস্থা কোনোভাবেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। উল্টো দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই খারাপের দিকে যাচ্ছে। দেশটির সংকটময় অবস্থার অবসান না ঘটলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
সবচেয়ে বেশি সংকট জ্বালালি তেলের। পেট্রলের অভাবে গাড়ি নিয়ে লংকান ক্রিকেটাররা মাঠে অনুশীলনেই যেতে পারছেন না।
এদিকে সোমবার থেকে দেশটিতে জরুরি অবস্থা চলছে।
এমতাবস্থায় ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ শ্রীলংকায় না হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাল শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এশিয়া কাপের খেলা হবে আরব আমিরাতের দুবাই ও শারজায়।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়াও এর পেছনে অন্যতম বড় কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে শ্রীলংকার জ্বালানি তেলের সংকটকে।
এদিকে দুটি টেস্ট খেলতে শ্রীলংকা সফরে গেছে পাকিস্তান। ইতোমধ্যে গলে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন মাঠে গড়াচ্ছে। এর আগে অস্ট্রেলিয়া খেলে গেছে শ্রীলংকা।
এ বিষয়ে এসএলসির প্রধান নির্বাহী অ্যাশলে ম্যাথিউ ডি সিলভা বলেছেন, ‘দুই দলকে স্বাগত জানানো এবং দশ দলকে স্বাগত জানানো এক নয়। দশটি আলাদা আলাদা (টিম) বাসে আপনাকে জ্বালানি দিতে হবে। প্রতিটি দলের লাগেজ ভ্যানেও জ্বালানি দিতে হবে। ফ্লাডলাইটের জেনারেটরের জন্যও জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হবে।’
এ ছাড়া শ্রীলংকার বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপুলসংখ্যক বিদেশি দর্শককে নিরাপত্তা দেওয়াও কঠিন চ্যালেঞ্জ।
তাই প্রধান কারণ জ্বালানি সংকটসহ সব কিছু বিবেচনা করে আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলানো হবে এবার। যার ফলে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আমিরাতে হবে এশিয়া কাপ।
এর ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের সবশেষ এশিয়া কাপও হয়েছিল আমিরাতে।
আমিরাতে হলেও টুর্নামেন্টের আয়োজক শ্রীলংকাই থাকছে।
২০২২ সালের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলার কথা মূল পর্ব। এর আগে ২০ থেকে ২৬ আগস্ট হওয়ার কথা বাছাইপর্ব।
মূলপর্বে সরাসরি খেলবে পাঁচ টেস্ট খেলুড়ে দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। বাছাই পর্বে হংকং, সিঙ্গাপুর, কুয়েত ও আমিরাত থেকে একটি দল জায়গা করে নেবে মূল লড়াইয়ে