নানা তর্ক-বিতর্ক আর উত্তেজনার মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির শপথ গ্রহণ করেছেন নিপুণসহ নবনির্বাচিত সব সদস্য।
শপথ অনুষ্ঠানে প্রথমে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে শপথ পড়ান সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর। এরপর নিয়ম অনুযায়ী নিপুণসহ অন্যদের শপথ পড়ান ইলিয়াস কাঞ্চন।
সঙ্গত কারণেই শপথ অনুষ্ঠানে আসেননি প্রার্থিতা বাতিল হওয়া জায়েদ খান ও চুন্নু। তবে শপথ অনুষ্ঠানে দেখা মেলেনি ডিপজল, রুবেল ও মৌসুমীর।
ডিপজল ও রুবেল দুজনেই মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন। হারিয়েছিলেন রিয়াজ ও ডিএ তায়েবকে। অন্যদিকে একই প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে জয়ী হন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, এ তিন তারকা কেন শপথ গ্রহণ করেননি?
জানা গেছে, নির্বাচনে তারা মিশা-জায়েদের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু নির্বাচন শেষে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করার কারণে শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন তার প্যানেলের বিজয়ীরা। বয়কটের তালিকায় রয়েছেন ডিপজল, রুবেল ও মৌসুমী।
এফডিসিপাড়ার গুঞ্জন, নিজ প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়ে আলাদা শপথের আয়োজন করবেন জায়েদ খান। সেখানে দেখা যেতে পারে এ তিন তারকাকে।
তবে রোববার শপথ গ্রহণ না করার বিষয়ে ডিপজল, রুবেল বা মৌসুমীর কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ভোটের পর প্রকাশিত ফলাফলে চিত্রনায়িকা নিপুণকে ১৩ ভোটে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন জায়েদ খান। তবে সে ফলাফল না মেনে জায়েদের বিরুদ্ধে ভোটকেনাসহ অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেন। এর তদন্ত শেষে গত শনিবার জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ড।
যদিও আপিল বোর্ডের কার্যকারিতা আর নেই দাবি করে এই সিদ্ধান্ত মানছেন না জায়েদ খান। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পরপর দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা এই নায়ক।
এদিকে জায়েদ খান না মেনে নিলেও নিপুণের জয়কে স্বীকার করে নিয়েছেন তার প্যানেলের সভাপতি পদে লড়াই করা মিশা সওদাগর।
রোববার বিকালে তিনিই শপথ পড়ান ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণদের।
শপথ পড়ানো শেষে মিশা বলেন, নির্বাচনে জয়ী ও পরাজয়ী সবাইকে আমার সালাম ও শুভেচ্ছা। শিল্পী সমিতি নির্বাচন একটি মালা বদলের পালা। আজও তাই হয়েছে। সবার কাছে অনুরোধ, পেছনের কথা ভুলে যান। সব ভুলে আমরা আমাদের সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এটাই আমার প্রত্যাশা। নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের আলোয় এফডিসি আলোকিত হোক এটাই আমি চাই। বিজয়ী প্যানেলকে আমরা সব ধরনের সহায়তা করব।