জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক গুঞ্জন।
ফেসবুকের একটি সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মিডিয়াগুলো জানিয়েছে আগামী সপ্তাহেই নতুন নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
ফেসবুকের ঘোষণার আগেই অনেকেই ফেসবুকের নতুন নতুন নাম দিচ্ছেন। যদিও এ প্রস্তাবনার বেশির ভাগই তারা করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্ম টুইটারে গিয়ে।
কেউ কেউ বলছেন, ফেসবুকের নাম সংক্ষিপ্ত করে ‘এফবি’ করা হোক। কেননা অনেকেই এ নামে ফেসবুকে উল্লেখ করে থাকেন অনেক আগে থেকেই। আবার ফেসবুকের প্রথম নাম ‘দ্য ফেসবুক’ করার দাবিও এসেছে।
অন্য দিকে, মেটাভার্সের এক আলোচনা সভায় ফেসবুকের নতুন একটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ফেসবুকের বিকল্প নাম ‘মেটা’ হতে পারে বলে ওই আলোচনা সভায় উল্লেখ হয়েছে।
তবে এটির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়া বুকফেস, ফেসগ্রাম, ফেক্টাগ্রাম, ফেসটক এবং ওয়ার্ল্ডচেঞ্জার নামটিও আলোচনায় এসেছে।
কিন্তু ফেসবুক কেন এতটা তড়িঘড়ি করে নাম বদলাতে চাইবে? সে প্রশ্নের উত্তরে শোনা যাচ্ছে, দুর্নাম ঘোচাতে নাম বদলে দিতে চাইছে ফেসবুক।
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেনের বক্তব্যে এমনটাই বোঝা যাচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসে তিনি বলেছেন, ফেসবুক সব সময় মানুষের ভালোর চেয়ে মুনাফায় গুরুত্ব দিয়েছে, শিশু-কিশোরদের ক্ষতি করছে জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে সম্ভাব্য নাম হিসাবে ‘হরাইজন’-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। বেশ আগে থেকেই এ নামে একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করছে ফেসবুক, যা মেটাভার্সের ধারণার সঙ্গেও মিলে যায়।
মেটাভার্সে ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেবা পাওয়া যাবে ভার্চুয়াল জগতে, যে জগতে ব্যবহারকারীরা যুক্ত হয়ে বাস্তব দুনিয়ার মতো একে অপরের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে পারবেন, একসঙ্গে কিছু কিছু কাজও হয়তো করতে পারবেন।
এতে ভার্চুয়াল আর বাস্তব জগতের বিভেদ কমে যাবে, যা অগমেন্টেড এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভব হবে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর ফেসবুকের বার্ষিক সম্মেলন ‘কানেক্ট’ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতি বছর ফেসবুকের কর্মীদের নিয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। তার আগেই ফেসবুকের পক্ষ থেকে নতুন নাম জানানো হতে পারে।