গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান শহরে উৎপত্তির পর আড়াই মাসেই প্রায় গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে করোনাভাইরাস।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে গোটা বিশ্বে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যে।
তবে ১৮ দেশে এখনও করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
এগুলোর বেশিরভাগই দ্বীপরাষ্ট্র। তবে কয়েকটি স্থলসীমা পরিবেষ্টিত বৃহৎ রাষ্ট্রও রয়েছে।
দেশগুলো হল- কমোরোস, কিরিবাতি, লেসোথো, মার্শাল আইল্যান্ডস, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, উত্তর কোরিয়া, পালাউ, সামোয়া, সাও তোমে অ্যান্ড প্রিনসিপ, সলোমোন আইল্যান্ডস, দক্ষিণ সুদান, তাজিকিস্তান, টোঙ্গা, তুর্কমেনিস্তান, টুভালু, ভানুয়াতু ও ইয়েমেন।
এ সব দেশে কেন এখনও করোনা সংক্রমণ ঘটেনি তার কারণ বিশ্লেষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা জানিয়েছেন, এ সব দেশের অধিকাংশই প্রায় পর্যটক শূন্য এবং ঘনবসতি নেই। দুর্গম ও দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে বাইরে থেকে লোকজনের যাতায়াত কম। জনসংখ্যা কম হওয়ার সেখানকার সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সহজ। তাই করোনার সংক্রমণ ঘটেনি সে সব দেশে।
তবে উত্তর কোরিয়া, তুর্কিমেনিস্তান ও ইয়েমেনের বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন ও তুর্কিমেনিস্তানে সরকারিভাবে করোনা শনাক্তের সংখ্যা শূন্য বলা হচ্ছে। তবে বাস্তবে চিত্র ভিন্ন হতে পারে।
তবে এ সব দেশে করোনা একবার প্রবেশ করলে তা ভয়াবহ রূপ নিবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাবেক কমিশনার চিকিৎসক কলিন টোকোটোঙ্গা।
তিনি বলেছেন, এটা খুবই বড় সুসংবাদ যে, এই ১৮টি দেশে করোনা পৌঁছায়নি এখনও। তবে দেশগুলো করোনা আক্রান্ত হয়ে গেলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। বিশেষ করে দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর পুরো জাতিই হুমকির মুখে পড়বে। কারণ এ দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারেই মানের নয়। রাষ্ট্রগুলো ছোট ও দুর্বল। অনেক দেশে কোনো ভেন্টিলেটর নেই। এ ছাড়া এ সব রাষ্ট্রের বাসিন্দাদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের হার অনেক বেশি। তারা করোনা আক্রান্ত হলে দ্রুতই মারা পড়বে।
সুত্র-যুগান্তর